দেশজুড়ে

ফায়ার ফাইটার রনির মরদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নার রোল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম রনির মরদেহ শেরপুরে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় শেরপুরের হেরুয়া বালুঘাটা এলাকায় মরদেহ এসে পৌঁছে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম।

Advertisement

সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল ১০টায় রনির জানাজা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। রনির চাচা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে দমকল বিভাগে চাকরি হয় রনির। চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় ছিলেন রনি। প্রায় তিনমাস আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বদলি হয়ে সেখানেই স্ত্রীসহ বসবাস করছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি।

এদিকে আদরের নাতি রনির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই বিছানায় শয্যাশায়ী দাদি আফরোজা বেগম। নাতি মারা যাওয়ার কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে ৭৫ বছর বয়সী দাদা ইউনুস আলীর। চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বলে উঠছেন, ‘আমার দাদু ভাই কই গেল, আমার দাদু ভাই কই গেল, ভাইরে তুমি আমারে ফালায়া কই গেলা।’

গ্রামের লোকজন জানান, স্বজনদের কাছে রনি যেমন প্রিয় ছিলেন। একইভাবে গ্রামে নম্র-ভদ্র ও পরোপকারী ছেলে হিসেবে গ্রামে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে এলেই তিনি প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিতেন, সাহায্য করতেন। চার ভাইবোনের মধ্যে রনি সবার বড়। তার ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম রকিবকে ময়মনসিংহে রেখে পড়াশোনা করাতেন রনি। এক বোন আশামনি নবম শ্রেণিতে ও আরেক ছোট বোন আঁখিমনি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এদের লেখাপড়ার খরচসহ পরিবারের আয়ের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন রনি।

Advertisement

ইমরান হাসান রাব্বী/এফএ/জেআইএম