যুক্তরাজ্যের দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের আস্থা ভোটে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন বরিস জনসন। সুতরাং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদেই থাকছেন তিনি।
Advertisement
বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি না, সে বিষয়ে সোমবার (৬ জুন) ভোট দেন তার দল কনজারভেটিভ-এর সংসদ সদস্যরা। এতে বরিস জনসনের পক্ষে ২১১টি ভোট ও বিপক্ষে ১৪৮টি ভোট পড়ে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডি ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন যে, ‘আমি ঘোষণা করছি, প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রয়েছে পার্লামেন্টারি দলের।’
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আস্থা ভোটের এ ফলাফলকে ‘নিষ্পত্তিমূলক’ জয় বলে অভিহিত করেছেন। উচ্ছ্বসিত স্বরে তিনি বলেন যে এটি ‘খুব ভাল’ এবং ‘প্রত্যয়ী’ ফলাফল।
Advertisement
আস্থা ভোটের এই ফলাফলে প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল তবিয়তে থাকছেন বরিস জনসন। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন যে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভের মাত্রা দেখা যাচ্ছে, এতে তার কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ তাকে পদত্যাগ করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
করোনা মহামারিতে যুক্তরাজ্যে যখন কঠোর বিধিনিষেধ চলে তখন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে মদের পার্টির আয়োজন করে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বরিস জনসন। এমনকি তার পদত্যাগের দাবিও জোরালো হয়। ক্ষুব্দ হন নিজ দলের এমপিরা।
শুধু লকডাউনের মধ্যে মদের পার্টির আয়োজনে যোগ দেওয়া নয়, বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, গত বছরের ১৭ এপ্রিল ফিলিপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার সময়ও ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করা হয়। আর সেটি ছিল বরিস জনসনের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জেমস স্ল্যাকের বিদায় উপলক্ষে। সারাদেশে তখন ফিলিপের মৃত্যুতে জাতীয় শোক চলছিল। তবে এ ঘটনায় রানির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। দিয়েছেন মোটা অঙ্কের জরিমানাও। পরে নিজ দলের ৫০ এমপি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আবেদন করে চিঠি দেন।
এর আগে ২০১৮ সালে তৎতালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দলের সংসদ সদস্যদের আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং তিনি ৬৩ শতাংশ সমর্থন পেয়ে ভোটে জয়ী হন। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে ব্রেক্সিট ইস্যুতে তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর/জেআইএম