চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে এখনো যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি তাদের পরিচয় শনাক্তে অন্তত এক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি চট্টগ্রামের ফরেনসিক ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
Advertisement
সোমবার (৬ জুন সন্ধ্যায়) তিনি জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিহতদের ২১ জনের পরিবারের ৩৭ সদস্যের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ সদস্যের পরিবারও রয়েছে।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে আবারও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া মরদেহের দাবিদার পাওয়া সাপেক্ষে পরেও নমুনা নেওয়া হবে।
Advertisement
জানা গেছে, মরদেহ গ্রহণের পরও অনেকের সন্দেহ রয়েছে, সে কারণে কয়েকটি পরিবারের সদস্যের নমুনাও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের হেল্প ডেস্ক থেকে জানানো হয়েছে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহদের মধ্যে ২৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে।
অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Advertisement
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
ইকবাল হোসেন/সায়ীদ আলমগীর/ইএ/এমএস