খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার টিয়াবুনিয়া এলাকায় সালতা নদীর মুখে নতুন স্লুইস গেট নির্মাণ হলেও এখনো বেহাল অবস্থায় নদীতে পড়ে আছে পুরাতন গেটটি। ফলে বর্ষা মৌসুমে আবারো ডুমুরিয়ার একাংশ জলাবদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বর্ষা মৌসুমে সালতা নদীর জোয়ারের প্রবল পানির চাপে উপজেলার শোলমারি এলাকাস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চার ভেন্টের পাইপের স্লুইস গেটটি ভেসে যায়। ওই সময় মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকার মৎস্য ঘেরসহ নিচু গ্রামাঞ্চল তলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তহবিলে অর্থ সঙ্কট থাকায় প্রায় ১ মাস পর্যন্ত এলাকায় জোয়ার-ভাটা বইতে থাকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কৈয়াবাজার থেকে শরাফপুর সড়ক। পরবর্তীতে পাউবো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শনুযায়ী স্থানীয় প্রফুল্ল কুমার রায় নামে এক ব্যবসায়ীর উদ্যোগে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়। এর প্রায় ১ বছর পর পাউবো কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দে ৩ ভেন্টের উন্নতমানের বক্স স্লুইস গেট নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমান নতুন গেটের কাজ প্রায় শেষ হলেও এখনো বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে সেই পুরাতন গেটটি। পাউবো কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় এক বছর আগে টেন্ডারের মাধ্যমে পুরাতন গেটটি ১লাখ টাকায় বিক্রি করা হয় খুলনার বিশ্বাস ঠিকাদার নামে এক প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই বেহাল অস্থায় নদীতে পড়ে আছে। এভাবে নদীর মাঝে পড়ে থাকা স্লুইস গেটটি অপসারণ না হলে নতুন গেট দিয়ে পানি সরবরাহে ব্যাপকভাবে বাঁধা সৃষ্টি হবে। এতে বর্ষা মৌসুমে ডুমুরিয়া সদর, গুটুদিয়া, ভান্ডারপাড়া এলাকার কিছু অংশ আবারো জলাবদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, খুব শিগগিরই গেটটি সরাবে বলে আমাদের ওরা (ঠিকাদার) জানিয়েছে। তাদের জনবল সঙ্কটের কারণে দেরি হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর বলেন, পানি সরবরাহের মুখে পুরাতন গেট পড়ে থাকলে ব্যাপক বাঁধা সৃষ্টি হবে। আলমগীর হান্নান/এসএস/আরআইপি
Advertisement