নোয়াখালীর চাটখিলে দাদা-দাদির কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত ফায়ারম্যান মো. আলাউদ্দিনকে (৩৫)।
Advertisement
সোমবার (৬ জুন) সকাল ৯টায় উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে ভোর পৌনে ৫টার দিকে আলাউদ্দিনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি পৌঁছে। পরে চাটখিল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা মুড়িয়ে ও ফুল দিয়ে আলাউদ্দিনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
তার বড় ভাই কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জহির উদ্দিন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের একমাত্র ছেলে মো. তাজউদ্দিন তাহিম (৬) অবুঝ বয়সে এতিম হয়ে গেলো। তার দিকে যেন সরকার খেয়াল রাখে আমরা সেটাই চাই।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘আলাউদ্দিনের জানাজা পড়ান তার শ্বশুর মাস্টার ইলিয়াস ভূঁইয়া। এতে আমাদের বৃদ্ধ বাবা মো. আবদুর রশিদ মেম্বার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
আবদুর রশিদ মেম্বার (৯০) বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী বোঝা বাবার কাঁধে সন্তানের মরদেহ। আমি সেই বোঝাই বইলাম। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে পরকালে শান্তিতে রাখে সেই দোয়াই করি।
এদিকে বাড়িতে মা মমতাজ বেগম (৭৫) ও স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা (২৮) কান্নায় বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। আলাউদ্দিনের নিহতের খবরে পরিবারসহ পুরো বানসা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আলাউদ্দিন চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছুটি শেষে শনিবার (৪ জুন) সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পর ওইদিন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত হন।
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/এসজে/এএসএম