শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এতে রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ডিপোতে থাকা শত শত কনটেইনারে। এসব কনটেইনারের প্রায় সবগুলোতেই ছিল রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য।
Advertisement
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএম কনটেইনার ডিপোর প্রায় সব কনটেইনারই পণ্যভর্তি ছিল। যার মধ্যে বেশি ছিল গার্মেন্টস পণ্য। অধিকাংশই ছিল রপ্তানির জন্য একেবারে প্রস্তুত অবস্থায়। গার্মেন্টসের কাঁচামালসহ কনটেইনারভর্তি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পণ্য এবং আমদানি করা পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডে ১৫ কোটি ডলার বা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের পণ্য পুড়েছে। এর মধ্যে আরএমজি (তৈরি পোশাক) পণ্যই পুড়েছে এক হাজার কোটি টাকার বেশি।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলছে, চুক্তি অনুযায়ী ডিপোতে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার পর সেই পণ্যের সব দায়দায়িত্ব ডিপো কর্তৃপক্ষের। ডিপোতে আগুনের ঘটনায় যে ক্ষতি হয়েছে তার দায়ও ডিপো কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। পাশাপাশি বিজিএমইএ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। শুল্ক-কর মওকুফের জন্য বন্ড কমিশনারেটের কাছে আবেদন জানানোর কথা বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম জাগো নিউজকে বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর আরও একটি বড় ধাক্কার মুখে পড়লো পোশাকখাত। এতে ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক মেসেজ যাবে, আমরা এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন।
Advertisement
ডিপোর ঘটনায় কেমন ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনই সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। বিজিএমইএ সব সদস্যকে চিঠি দিয়েছে। জানতে চেয়েছে কার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এ ঘটনায় শুধু আরএমজি খাতে এক হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ইএআর/এমএইচআর/জেআইএম