সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের পর বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন প্রতিষ্ঠান চার রকম তথ্য দিয়েছে। আবার রোববার রাতে দেওয়া তথ্য সোমবার সকালে সংশোধন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
Advertisement
শনিবার রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার পর থেকে মৃতের খবর আসতে থাকে। প্রথমে দুজন, পরে চারজন, আরও পরে সাতজনের মারা যাওয়ার খবর আসে। এভাবে সময় যত গড়াতে থাকে মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে। রোববার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, মৃতের সংখ্যা ৪৯ জন।
এর ঘণ্টা দেড়েক পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। রোববার রাত ৯টায় জেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডেও জানানো হয় মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। এর মাঝে ২৬ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। বাকিদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
Advertisement
তবে এর আগেই সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন নোটিশ বোর্ড সংশোধন করে মৃতের সংখ্যা ৪১ জন বলে জানায়।
রোববার রাতে (বামে) এবং সোমবার সকালে (ডানে) দুরকম তথ্য দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন
ফলে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আসলে কতজন মারা গেছেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আগুন লাগার ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখনো বেশ কয়েকটি কনটেইনার দাউ দাউ করে জ্বলছে। ধোঁয়া বোরোচ্ছে বেশ কয়েকটি কনটেইনার থেকে।
সীতাকুণ্ডের ওই ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনায় রাসায়নিক পদার্থ থাকা চারটি কনটেইনার চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপসারণের চেষ্টা চলছে বলে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল জানিয়েছেন।
ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জিকেএস