চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব পানি শেষের পর বিকল্প হিসেবে পাশের পুকুর থেকে পানি নেওয়া হয়। আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টা পরই পুকুর থেকে পানি নেওয়া শুরু করেন তারা। গতকাল রোববার তিনটি পুকুরের পানি শেষ হয়ে যায়। আজ সকাল ১০টা নাগাদ আরও তিনটি পুকুরের পানি শেষ হয়ে যায়।
Advertisement
আগুন লাগার পরের ৩৬ ঘণ্টায় ৬ পুকুরের পানি ফুরালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পার হলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনো বেশ কয়েকটি কনটেইনার দাউ দাউ করে জ্বলছে। ধোঁয়া বোরোচ্ছে বেশ কয়েকটি কনটেইনার থেকে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোর পাশে একটি কনটেইনারে কেমিক্যাল থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। তাদের মূল লক্ষ্য এখন কেমিক্যাল কনটেইনারটি নিয়ন্ত্রণে আনা।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সোবহান সিকদার জাগো নিউজকে জানান, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ২৫টির বেশি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নিজস্ব পানি শেষ হয়ে গেলে আশপাশের পুকুর থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি নেওয়া শুরু হয়। গতকাল রোববার পর্যন্ত তিনটি পুকুরের পানি শেষ হয়ে যায়। আজ আরও তিনটি পুকুরের পানি শেষ হয়ে গেলে বিকল্প হিসেবে কিছুটা দূর থেকে পানি নেওয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের পরিবারে জেলা প্রশাসনের সহায়তার টাকা হস্তান্তর হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
টিটি/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement