চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে যাদের শনাক্ত করা যায়নি তাদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পর তা মিলিয়ে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
Advertisement
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জেলা প্রশাসনে সহায়তা সেলের পাশে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বুথ স্থাপন করে নমুনা নেওয়া হচ্ছে।
নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে সোমবার দুপুর ১২টার পর সিআইডি চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ খালেদ জানিয়েছেন, ১২টা পর্যন্ত ১০ মরদেহের বিপরীতে ১৭ জনের নমুনা নেওয়া হয়েছে। সিআইডির টিম নমুনা সংগ্রহ করছে।
রোববার রাতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান জানান, নিহতদের মাঝে ২১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের মাঝে রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অনেক মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই নিহতদের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
Advertisement
এদিকে আগুন লাগার পর প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পার হলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনো বেশ কয়েকটি কনটেইনার দাউ দাউ করে জ্বলছে। ধোঁয়া বোরোচ্ছে অর্ধশতাধিক কনটেইনার থেকে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোর পাশে একটি কনটেইনারে কেমিক্যাল থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। তাদের মূল লক্ষ্য এখন কেমিক্যাল কনটেইনারটি নিয়ন্ত্রণে আনা।
অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের পরিবারে জেলা প্রশাসনের সহায়তার টাকা হস্তান্তর হয়েছে।
ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement