চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছেলের ছবি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হেমায়েত উল্লাহ। আশা অন্ততপক্ষে ছেলে কি অবস্থায় আছে তা যেন জানতে পারেন। কিন্তু খোঁজ মেলে না ছেলের। তাই ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেবেন তিনি।
Advertisement
সোমবার (৬ জুন) চমেক হাসপাতালে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় হেমায়েত উল্লাহর। তিনি জানান, তার ছেলে মাইনুদ্দীন (২১) কাভার্ড ভ্যানচালক। ঘটনার দিন শনিবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে রপ্তানির জন্য তৈরি করা পোশাক ডিপোতে নিয়ে আসেন মাইনুদ্দীন। রাত ১০টায় শেষ কথা হয় ছেলের সঙ্গে।
এরপর থেকেই ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না বাবা হেমায়েত উল্লাহ। গত দুই রাত খেয়ে না খেয়ে হন্যে হয়ে খুঁজেছেন ছেলেকে।
হেমায়েত উল্লাহ বলেন, ওইদিন রাতে ছেলে ফোন করে বলে, ‘আব্বু বিএম ডিপোতে আগুন লাগছে। আপনার মোবাইলের ডাটা চালু করেন। আমি ভিডিও কল দেই।’
Advertisement
তিনি বলেন, ছেলের ভিডিও কলে আমি দেখতেছি আগুন জ্বলছে। পরে তাকে বলছি ওখান থেকে সরে যেতে। আমিও চালক। সেদিন ঢাকাতে মাল আনলোড করছিলাম। তাই তাকে বললাম পরে কথা বলবো। এই শেষ কথা। আর তার সঙ্গে কথা হয়নি।
ছেলের সন্ধানের বিষয়ে হেমায়েত উল্লাহ বলেন, আমি সীতাকুণ্ড, কোতোয়ালি থানা, এই বিল্ডিংয়ের (হাসপাতালের) নিচ থেকে ছয়তলা পর্যন্ত খুঁজেছি। কোথাও বাকি রাখি নাই। কিন্তু পায়নি। পরশুদিন (শনিবার) রাত ২টার থেকে খোঁজা শুরু করেছি। রোববারও সারারাত খুঁজেছি। কোথাও পাই নাই।
এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। বিস্ফোরণের শব্দে বহু দূরেও ঘরের জানাল কেঁপে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement