আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণের খবর

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আট ফায়ার সার্ভিস কর্মী।

Advertisement

১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। বহু পরিবারের স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের আকাশ-বাতাসে এখন শুধুই পোড়া গন্ধ। দগ্ধ ও নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারী হয়ে উঠছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সীতাকুণ্ডের এই বিস্ফোরণের ঘটনা গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই বিস্ফোরণে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও কয়েকশ মানুষ।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত এবং আরও তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

Advertisement

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে কনটেইনার ডিপোতে আগুনে ৩৭ জন নিহত, আহত হয়েছে আরও কয়েকশ মানুষ। অন্যদিকে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৯ জন নিহত এবং আরও তিন শতাধিক আহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অন্যান্য গণমাধ্যমেও এই বিস্ফোরণের খবর জানানো হয়েছে।

ওই ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সব কনটেইনার পণ্যভর্তি ছিল। ফলে আগুনে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা ও আমদানির বহু পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য পুড়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা দাঁড়ায় প্রায় ৯০০ কোটি।

শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ডিপোর কনটেইনারে কেমিক্যালজাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ফলে দ্রুত পুরো ডিপোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট পৌঁছে। পরে আরও আটটি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়।

Advertisement

সেখানে একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে। জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিরাপদ দূরত্বে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি টিমও।

টিটিএন/জিকেএস