দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেছেন, যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে অর্থনীতি, তা অন্য যে কোনো সময়ের চাইতে অনেক বেশি।
Advertisement
রোববার (৫ জুন) দুপুরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে সিপিডির অনলাইন ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, এর উৎস কিছু অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক সমস্যা। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে মূল্যস্ফীতির চাপ, বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি, চলতি হিসাবে ঘাটতি, বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর চাপ। এর ফলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এবং তা অন্য যে কোনো সময়ের চাইতে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে- সম্পদ সঞ্চালনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা, ব্যয়ের ক্ষেত্রে দুর্বলতা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে আরও বেশি নিরাপত্তা বরাদ্দ না রাখার সমস্যা।
Advertisement
সিপিডির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈষম্য দূরীকরণের চ্যালেঞ্জগুলোও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য রাজস্ব ও মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয় দরকার। যার ফলে আমাদের যেসব খাতে ভর্তুকি দেওয়া দরকার সেসব খাতে ভর্তুকি দিতে হবে সাময়িকভাবে হলেও। অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালনের গতি ত্বরান্বিত করতে হবে। সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রেও গতি ত্বরান্বিত করতে হবে। প্রাধিকার খাতগুলোতে ব্যয় করা এবং অন্য যে খাতগুলো ব্যয় দরকার সেরকম খাতে সাশ্রয়ীভাবে খরচ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধ করতে হবে। যেখানে মূল উদ্দেশ্য হবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বজায় রাখা ও একদিকে, অন্যদিকে বাজারের সরবরাহ নিশ্চিত করা। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ যেন বাড়ে, যা আমাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে এবং তার পাশাপাশি দরিদ্র যারা, তাদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনীতির পাঁচটি খাত নিয়ে আলোচনা হয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি, সরকারের আয় ব্যয়ের কাঠামো, মূল্যস্ফীতি এবং তার পাশাপাশি মুদ্রা ও ব্যাংকিং খাত এবং বহির্খাতের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সিপিডির অনারারি ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল আলম খান।
এইচএআর/আরএডি/জিকেএস
Advertisement