জাতীয়

বাবার জন্য অপেক্ষায় সন্তানেরা, মরদেহ হাসপাতালে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মো. সুমনের (২৬) মরদেহ নিতে নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসেছেন ভাই মো. নোমান।

Advertisement

নিহত মো. সুমন (২৬) চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন তিনি। বড় মেয়ের বয়স দেড় বছর। তারা দুজনই নোয়াখালীতে বাবার জন্য অপেক্ষা করছে। আর বাবার রয়েছেন চমেক হাসপাতালের মরচুয়ারিতে।

সুমনের ভাই নোমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকেও ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তখন বলেছিল ভালো আছে। আজও ফোন খোলা আছে। কিন্তু রিসিভ করছে না।

এভাবেই আর্তনাদ ভরা কণ্ঠে কান্না করছিলেন সুমনের আরও দুই ভাই। অনেক ঝক্কিঝামেলা শেষে ভাইয়ের মরদেহ খুঁজে পান তারা। হাসপাতালের মরচুয়ারি থেকে ভাইয়ের মরদেহ বের করতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন তারা।

Advertisement

হাসপাতালে নিহত সুমনের ভাইয়েরা

শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ডিপোর কনটেইনারে কেমিকেল জাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ফলে দ্রুত পুরো ডিপোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট পৌঁছে। পরে আরও আটটি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। তবে বিস্ফোরণের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পোহাতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।

এদিকে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন কর্মীও রয়েছেন। আগুনে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। দগ্ধদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।

Advertisement

রোকনুজ্জামান/আরএডি/জেআইএম