চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এ ঘটনায় বেশ হতাহত হয়েছেন, আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ২০০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রস্তুত আছে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এখানেও দুই থেকে চারজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Advertisement
রোববার (৫ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো জানা যায়নি কতজন ভেতরে ছিল এবং কতজন মারা গেছে। এটা খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা আমরা আশা করি না।
শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ডিপোর কনটেইনারে কেমিক্যাল জাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ফলে দ্রুত পুরো ডিপোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট পৌঁছে। পরে আরও আটটি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। তবে বিস্ফোরণের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পোহাতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।
Advertisement
এদিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন কর্মীও রয়েছেন। আগুনে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। দগ্ধদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেখানে একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে। জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিরাপদ দূরত্বে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সেনাবাহিনীর একটি টিমও।
এএএম/বিএ/এমএস
Advertisement