গণমাধ্যম

চলে গেলেন সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রোববার রোববার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।  দীর্ঘদিন ধরে তিনি সার্ভিক্যাল কমপ্রেসিভ মাইলো রেডিকিউলোপ্যাথি নামক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার দেহে অস্ত্রোপচার করা হয় হয়। এরপর তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। জ্ঞান ফেরার পর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে তাকে কেবিনে দেয়া হবে বলে জানান নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়া।তবে রোববার সকালে অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এরপর না ফেরার দেশে চলে যান সাংবাদিকবান্ধব এই নেতা।এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে তাকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়।সৎ ও নির্ভীক এই সাংবাদিক দুই মেয়ে আইরিন মাহমুদ ও আফরিন মাহমুদ ও ছেলে হাসিব মাহমুদ তপুর জনক। বড় মেয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, ছোট মেয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বিবিএর ছাত্রী। ছেলে বাবার মতো সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় কর্মরত।অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আলতাফ মাহমুদ। ফেডারেশনের মহাসচিবও ছিলেন। ডিইউজের সবচেয়ে বেশিবার নির্বাচিত সভাপতি তিনি।সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে জাগো নিউজ পরিবার গভীর শোকাহত।এএ/এসএইচএস

Advertisement