‘আমি ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলাম। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে আমার ঘরের ছাদ। পরে ভাতিজাকে আনতে যাই ঘটনাস্থলে। সেই ভয়াবহতার কথা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’
Advertisement
এভাবেই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনের ভয়াবহতার কথা প্রকাশ করছিলেন মো. কামাল হোসেন। তিনি ওই ডিপোর কাছেই থাকেন।
শনিবার রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এরপর রাত ১১টার সময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু সেই আগুন রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আগুনে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন। এছাড়া আগুনে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
Advertisement
অগ্নিদগ্ধদের বেশির ভাগকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এসব মানুষের কান্না-চিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠেছে।
বিস্ফোরণে আহত মো. জামশেদ হাত ও পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে শুয়ে আছেন চমেকের বার্ন ইউনিটে। তিনি কনটেইনার ডিপোতে কাজ করেন।
জামশেদ বলেন, ব্যান্ডেজের ভেতরে এখনো পুড়ে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা হচ্ছে।
এদিকে আহত ভাতিজাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, প্রথমে অন্য একটা হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম। সেখান থেকে বললো, এখানে কিছু হবে না। এরপর চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসি।
Advertisement
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আগুন এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে কেঁপে ওঠে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
রোকনুজ্জামান/জেডএইচ/এমএস