চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উল্টো বাতাসের কারণে আগুন বাড়ছে। এছাড়া ডিপো এলাকায় রয়েছে পানি স্বল্পতা। ফলে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানায়, রাত ১১টার সময় তারা আগুন লাগার খবর পায়। তখন থেকেই তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সবশেষ এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত রোববার (৫ জুন) সকাল ৮টায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
এদিকে কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশসহ আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের ভর্তি করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আহত ও দগ্ধদের কান্না-চিৎকারে হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চট্টগ্রাম মেডিকেল ছাড়াও নগরীর অন্যান্য হাসপাতাল এবং কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালেও (সিএমএইচ) দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা।
Advertisement
এ অবস্থায় চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আগুন এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে কেঁপে ওঠে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
বর্তমানে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। সবমিলিয়ে কাজ করছে ২৫টি ইউনিট।
টিটি/জেডএইচ/এমএস
Advertisement