চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাতজন। এ ঘটনায় তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
Advertisement
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেককে ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নগরীর অন্যান্য হাসপাতাল এবং কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালেও (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করেছি আহত দেড়শ জনের মতো হবে। কিন্তু আহত আরও অনেক বেশি। এখানে অনেক চিকিৎসক এরই মধ্যে এসেছেন। আমরা অন্যদেরও আসার আহ্বান জানিয়েছি। হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স রোগীদের সেবায় আছেন। আমরা ভিড় কমিয়ে শুরুতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডিপোতে এসময় প্রায় ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল।
এদিকে বাতাসের কারণে আগুন বাড়ছে। ডিপো এলাকায় রয়েছে পানি স্বল্পতা। পানির হাহাকার কাটাতে বৃষ্টি কামনা করছেন সবাই। রাত সোয়া তিনটার দিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার এ কথা জানান।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৮টি ইউনিট এবং পরবর্তীতে আরও ৮টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
Advertisement
ইকবাল হোসেন/এমএইচআর