একের পর এক বোমার মতো কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ডিপো এলাকায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। কনটেইনারের কাছাকাছি যেয়ে আগুন নেভানোও যাচ্ছে না। দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি দেওয়া হচ্ছে। শুরুতে কাছাকাছি গিয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল বাহিনীর দশজনের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ জুন) দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার।
তিনি বলেন, প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ একের পর এক বোমার মতো কনটেইনার বিস্ফোরিত হচ্ছে। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কনটেইনারের কাছাকাছি গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে প্রায় দশজনের বেশি আহত হন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুন নেভাতে পানির স্বল্পতাও রয়েছে আমাদের।
Advertisement
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৮টি ইউনিট এবং পরবর্তীতে আরও ৮টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
টিটি/এএএম/এমএইচআর
Advertisement