ইউসুফ আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা। নিজেকে ব্যস্ত রাখতে বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন বাগান। প্রায় ৪০০টি টবে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এতে ফলনও হচ্ছে ভালো। এই ফল বাগান দেখতে আসছে অনেকে।
Advertisement
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ছাদে কমলা, আখ, লেবু, পেয়ারা, লিচু, ড্রাগন, দেশি-বিদেশি আম, বেদানা, আঙুর, মাল্টা, আমড়া ও আমলকিসহ প্রায় ৩০০ জাতের ফলের গাছ লাগানো আছে। বেশ কিছু গাছে ফলও ধরেছে। এতে বেশ আনন্দিত ইউসুফ আলী।
ইউসুফ আলী জাগো নিউজকে বলেন, আমি বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করি। তাই তেমন বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে গত দেড় বছর আগে শখ করে ছাদে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছি। তাছাড়া গাছ লাগানো ও এর পরিচর্যা করা আমার খুব পছন্দের কাজ।
বর্তমানে আমার ছাদে শসা, ক্যাপসিকামসহ প্রায় ৩০০ জাতের ফল গাছ রয়েছে। এ ফলের গাছগুলোতে অল্প ফল হলেও যেকোনো সময় পেড়ে খেতে পারি, এতেই মনে শান্তি পাই।
Advertisement
আব্দুল্লাহ নামে এক স্কুল ছাত্র বলেন, আমি প্রতিদিন বিকেলেই এখানে আসি। আমার এই ছাদটা দেখতে অনেক ভালোলাগে। আর এই ছাদে এলে অনেক কিছু খেতেও পাওয়া যায়।
ফল বাগান দেখতে আসা জিয়াউল আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ইউসুফ আলীর বাড়ির পাশে আমার বাড়ি। আমি প্রতিদিন বিকেলে তার ছাদের ফল বাগান দেখতে আসি। অনেক ফল আমাদের কিনতে হয় না। তার বাগান থেকেই নিয়ে যাই। আর দেখতেও খুব ভালো লাগে। অনেকে সন্ধ্যার সময় ছবি তুলতে আসেন এই ছাদে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, শিবগঞ্জের মানুষ গাছপ্রেমী তাই প্রায় দেড়শ মানুষ ভবনের ছাদেই ফুল-ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন। আর বাড়ির ছাদে যেকোন গাছ লাগানো থাকলে সবসময় ঘর জন্য ঠান্ডা থাকে। একদিকে পরিবেশ রক্ষা হয়, অন্যদিকে পারিবারিক সবজি চাহিদা ও পুষ্টির জোগান দেওয়া সম্ভব হয়। তাই দিন দিন ভবনের ছাদে ফুল-ফল চাষের চাহিদা বাড়ছে।
সোহান মাহমুদ/এমএমএফ/জিকেএস
Advertisement