ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের (কেকে) গানের সমালোচনা করেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, কেকের চেয়েও ভালো গান করেন বাংলার বহু শিল্পী। তার এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর আকস্মিক মৃত্যু হয় কেকের।
Advertisement
এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে রূপঙ্করের নাম। তার সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠেন অনেকে। এমনকি হত্যারও হুমকি নাকি দেওয়া হয়।
শেষপর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। স্টার জলসার রিয়্যালিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র শুটিংয়ে যাওয়ার পথে কলকাতার টালা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন রূপঙ্কর বাগচী ও তার স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ী।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে চৈতালী বলেন, একাধিক খুনের হুমকি এসেছে। প্রশাসনকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছে, ব্যবস্থা নেবে।
Advertisement
রূপঙ্কর ভারতীয় বাংলা ছবিতে অনেক গান করেছেন। তিনিও একজন সংগীতশিল্পী।
এদিকে মঙ্গলবার (৩১) রাত সাড়ে ৯টায় কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা যান কেকে। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতায় গুরুদাস কলেজের এক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন কেকে। সেখানে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি হোটেলে চলে যান। পরে সেখান থেকে কলকাতা সিএমআরআই হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই এ শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই রূপঙ্কর বাগচীর বিরুদ্ধে কেকের ভক্তরা সমালোচনার ঝড় তুলেন।
Advertisement
এরপরই রূপঙ্কর বলেছিলেন, আমি কেকের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাইনি। মানুষ বুঝতে না পারলে দুঃখ লাগবে। বাংলা গান বাংলা সাহিত্য এই নিয়ে বলতে চেয়েছিলাম। এসময় তিনি কেকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
১৯৯৭ সালে ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেছিলেন কেকে। ১৯৯৯ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘পাল’ প্রকাশ পায়। এরপর ‘কেয়া মুঝে পেয়ার হ্যায়’ (কেকে), ‘দিল কিউ ইয়ে মেরা শোর কারে’, ‘জিন্দেগি দো পাল কি’ (কাইটস), ও ‘তুনে মারি এন্ট্রিয়া’ (গুন্ডে) মতো অসংখ্য গান গেয়ে মুগ্ধ করেছিলেন সংগীত প্রেমীদের। তিনি হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালাম, গুজরাটি ভাষায় গান গেয়েছিলেন।
জেডএইচ/জিকেএস