গর্ভাবস্থায় শরীরে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এসময় হরমোনের মাত্রা ওঠানামা থেকে শুরু করে ওজন, স্তন ও শরীরের অন্যান্য অংশের পরিবর্তন ঘটা খুবই স্বাভাবিক। তাই এ সময় শরীরের বাড়তি যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
Advertisement
তবে অনেকেরই গর্ভাবস্থায় করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তাই হবু মায়েদের উচিত গর্ভাবস্থায় বেশ কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ভুলগুলো কী কী-
খাবার এড়িয়ে যাওয়া
গর্ভাবস্থায় বারবার ক্ষুধা ও বমি বমি ভাব অনুভব করা স্বাভাবিক। এ সময় বিভিন্ন খাবারের প্রতি লোভ হতে পারে। আবার অনেকেই খাবার দেখলে নাক সিঁটকায় এ সময়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৬-১০ জন নারী গর্ভাবস্থায় খাবার এড়িয়ে যান।
Advertisement
তবে প্রথম কয়েক মাসে খাবার এড়িয়ে যাওয়ার ভুল করবেন না। কারণ প্রথম কয়েক মাসে শিশুর অত্যাবশ্যক অঙ্গ গঠন ও বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই সে সময় আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন খনিজ ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা বাড়াতে হবে।
ওজন বেড়ে গেলে দুশ্চিন্তা
গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়বেই। কারণ তখন স্বাস্থ্যকর খাবার ও বেশি খাওয়া হয়। এমনকি হরমোনের মাত্রা ক্রমাগত পরিবর্তিত হওয়া কারণে ওজন বেড়ে যায়। তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বরং এ সময় সামান্য স্ট্রেস ও উদ্বেগ আপনার ও শিশুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। এ কারণে গর্ভাবস্থায় মন শান্ত রাখা উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার স্ট্রেস এড়াতে সাহায্য করে।
Advertisement
স্ব-ওষুধ গ্রহণ
গর্ভাবস্থায় পেশি ব্যথা, ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা ও আরও অনেক কিছুসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা কমানোর জন্য কখনো চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ খাবেন না।
শারীরিক কার্যকলাপ না করা
গর্ভাবস্থায় অনেকেই কায়িক শ্রম থেকে বিরত থাকেন। তবে এ সময় হালকা ব্যায়াম ও হাঁটা শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে পারে। গর্ভাবস্থায়ে সব সময় বসে শুয়ে থাকা উচিত নয়। এতে শরীর আরও ফুলে যেতে পারে। তাউ নিজেকে যতটা সম্ভব সক্রিয় রাখা উচিত।
দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা না নেওয়া
স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা ও ডেলিভারির জন্য অবশ্যই ভালো স্বাস্থ্যসেবা জরুরি। নিয়মিত চেকআপ ও শারীরিক সুস্থতার জন্য এ সময় দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে। কোন হাসপাতালে ডেলিভারি করাবেন কিংবা কোন ডাক্তারকে দেখাবেন এসব বিষয়ে দেরি করবেন না।
যা কিছু মানা জরুরি
উপরের এসব সাধারণ ভুল ছাড়াও, বেশ কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো থেকেও গর্ভবতী নারীদের বিরত থাকতে হবে। যেমন- আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে ধূমপান, অ্যালকোহল পান বা ক্যাফেইন গ্রহণ করবেন না।
এর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না। এর পাশপাশি পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। কম ঘুম গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি বাড়ায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস