মতামত

জাতির পিতার উন্নয়ন ভাবনা ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা

আধুনিক যুগে যে ক’জন মহান বাঙালি তাদের মেধার উৎকর্ষ, প্রজ্ঞা, সময়োপযোগী ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং সুনিপুণ চিন্তা-ভাবনার আলোকচ্ছটায় বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে অধিকার আদায়ের নিরবচ্ছিন্ন প্রেরণা জুগিয়েছেন, তাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছেন শতসহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

Advertisement

ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বেড়াজাল ছিন্ন করে তিনি বাঙালি জাতিকে শুধু একটি দেশই উপহার দেননি; সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি ভঙ্গুর অর্থনীতির রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো কেমন হবে- তারও একটি যুগোপযোগী রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনার ব্যাপ্তি ছিল সর্বত্র এবং তা ছিল সর্বজনীন, অব্যর্থ ও কালজয়ী।

বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তনে বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করে গেছেন। বিশ্ববিখ্যাত আইনজীবী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সন ম্যাকব্রাইড বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন, স্বাধীনতা শুধু পতাকা পরিবর্তন ও দেশের নতুন নামকরণ বোঝায় না, তার দৃষ্টিতে স্বাধীনতার অর্থ হলো সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য ও নীতিবোধ সম্পন্ন আদর্শবাদ।’

বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেন আদর্শবাদ নাগরিকের মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কাঠামো তৈরি করতে হবে, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি উপলব্ধি করেছিলেন নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তের সমন্বয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়ন কাঠামো হতে হবে পরিকল্পিত। স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই বিষয়টি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রখ্যাত পরিকল্পনাবিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের পরিকল্পনা কমিশন গঠিত করেন তিনি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একে দেওয়া হয় উচ্চপর্যায়ের পেশাদারি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা। পরিকল্পনামন্ত্রী পদাধিকার বলে কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। দৈনন্দিন কার্যাবলি পরিচালনার জন্য এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন একজন ডেপুটি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। কমিশনের অন্য সদস্যরা ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন।

Advertisement

কমিশনকে তিনি সরাসরি সরকার প্রধানের নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করেন। যেহেতু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কোনো কাঠামো ছিল না সেহেতু প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ মো. নুরুল ইসলামকে ডেপুটি চেয়ারম্যান করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব প্রদান করেন। দেশের উন্নয়ন কাঠামোতে অর্থনীতির কোন কোন খাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, কোন কোন খাতের সমন্বয়ে একটি সদ্য স্বাধীন ভঙ্গুর অর্থনীতিকে পরিকল্পিত কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেড় বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে। পরিকল্পনা প্রণয়নে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

বিনিয়োগ কৌশল, বঞ্চনা থেকে উত্তরণকে প্রাধান্য দেওয়া, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্যাডারভিত্তিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা ইত্যাদি সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়েই প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

উৎপাদনশীল কার্যক্রমকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না করে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা কৌশলপত্রে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ভঙ্গুর অর্থনীতিকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর মানষে কৃষি খাতে ভূমি সংস্কার এবং সমবায়ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে ক্ষুদ্র এবং ভূমিহীন কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। শিল্পখাতে বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় রেখে ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পকে ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় এবং সমবায় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজসমূহকে বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসাকে ব্যক্তি মালিকানাধীনে পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জাতির পিতার উন্নয়ন ভাবনায় সাধারণ উদ্দেশ্যের পাশাপাশি খাতভিত্তিক উন্নয়ন রূপরেখাও প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশেষ করে, কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন দর্শন ছিল স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রথাগত কৃষিকে ঢেলে সাজিয়ে আধুনিক কৃষিতে রূপান্তর করা। ফলে কৃষি খাতে আয় বৃদ্ধি পাবে, ক্রমবর্ধমান গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, গ্রামীণ দারিদ্র্যতা হ্রাসের মাধ্যমে আয় বণ্টনে সমতা আনয়ন ত্বরান্বিত হবে, দেশীয় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তাণি আয় বৃদ্ধি পাবে ফলে বৈদেশিক মুদ্রা মজুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং শস্য, মাছ, প্রাণিজাত দ্রব্য ফল, সবজি চিনি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টি নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো হবে।

Advertisement

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার উন্নয়ন ভাবনায় অর্থনীতির প্রতিটি খাতকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়েছেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন, শুধু উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেই ক্ষান্ত হননি তিনি মানুষকে প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করেছেন প্রণীত পরিকল্পনার সুদক্ষ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য।

১৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ প্রথম পুলিশ সপ্তাহের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী- এ কথা মনে রাখতে হবে। আমি বা আপনারা সবাই মৃত্যুর পর সামান্য কয়েক গজ কাপড় ছাড়া সঙ্গে আর কিছুই নিয়ে যাব না। তবে কেন আপনারা মানুষকে শোষণ করবেন, মানুষের ওপর অত্যাচার করবেন? গরিবের ওপর অত্যাচার করলে আল্লাহর কাছে তার জবাব দিতে হবে। তাই, শুধু আপনাদের নয়, সব সরকারি কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন। যাদের জন্য, যাদের অর্থে আজ আমরা চলছি, তাদের যাতে কষ্ট না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখুন।’

জাতির পিতা সর্বদাই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে ভাবতেন। তার ভাবনায় ছিল সোনার বাংলা বিনির্মাণ, ভাবনায় ছিল উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সেই ভাবনা থেকেই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি, যা প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নেই তিনি শুধু অবদান রাখেননি, সেই মানবসম্পদ যাতে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে সে বিষয়েও তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু মুজিব উন্নয়ন পরিকল্পনা যেমন গ্রহণ করেছিলেন তেমনি সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন উপরন্তু জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য, সোনার বাংলা বিনির্মাণে সক্রিয় অংশীদার হওয়ার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়নের বাস্তবতায় তিনি অর্থনৈতিক কাঠামো একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সফলতাও পেয়েছিলেন তিনি। মাথাপিছু জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১৯৭১ সালে যেখানে ছিল ঋণাত্মক ৭.৩৫ সেখানে যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি আরও হ্রাস পেয়ে হয়েছে ঋণাত্মক ১৫.৩৯। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে ১৯৭৩ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ১৫.৩৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ধণাত্মক ১.৭৩। ১৯৭৪ সালে তা আরও বেড়ে হয়েছে ৭.৮৩। ১৯৭১ এবং ১৯৭২ সালের জিডিপির প্রবৃদ্ধি যেখানে ছিল যথাক্রমে ঋণাত্মক ৫.৪৮ এবং ঋণাত্মক ১৩.৪৮ সেখানে ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে যথাক্রমে ধণাত্মক ৩.৩৩ ও ধণাত্মক ৯.৫৯।

বাংলাদেশের ইতিহাসে জিডিপির এ প্রবৃদ্ধি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কর্তৃক জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এর অর্থনীতি পশ্চাতপদ হয়েছে। ১৯৭৫ সালে মাথাপিছু জিডিপির প্রবৃদ্ধি আবারো ঋণাত্মক ৫.৯০ হয়েছে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৯.৫৯ থেকে হ্রাস পেয়ে ৪.০৮ হয়েছে, জিডিপিতে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং শিল্প খাতের মূল্য সংযোজন হ্রাস পেয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে নিয়ে সবসময়ই স্বপ্ন দেখতেন আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে। সেই ভাবনা থেকেই তিনি বলেছিলেন, ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। যে মানুষ ভিক্ষা করে তার যেমন ইজ্জত থাকে না, যে জাতি ভিক্ষা করে তারও ইজ্জত থাকে না। ভিক্ষুক জাতির নেতৃত্ব আমি দিতে চাই না। আমি চাই আমার দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক এবং সেই জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। শৃঙ্খলা আনতে হবে এবং শৃঙ্খলা দেশের মধ্যে আনতে হবে।’

৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদন উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এভাবে ‘আমি গত নির্বাচনের পূর্বে ও পরে বলেছিলাম, যে জাতি একবার রক্ত দিতে শিখেছে সেই জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, সেই জাতিকে কেউ পদানত করতে পারে না- সে কথা অক্ষরে অক্ষরে আজ প্রমাণ হয়ে গেছে। সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে। তারা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। বিশেষ করে কৃষক, শ্রমিক, দুঃখী, মেহনতি মানুষকে যেন কেউ বীঢ়ষড়রঃ করতে না পারে।’

এ প্রসঙ্গে ১১ জানুয়ারি ১৯৭৫ সামরিক একাডেমিতে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি স্মরণ করা যেতে পারে, ‘তোমাদের এখন একটা জিনিস মনে রাখা দরকার। দেশ যখন আমাদের আছে, মাটি যখন আমাদের আছে, বাংলাদেশের সোনার মানুষ যখন আছে, তখন আমরা সবই পাবো। যদি আমরা সোনার ছেলে তৈরি করতে পারি, তাহলে ইনশাল্লাহ আমার স্বপ্নের সোনার বাংলা একদিন অবশ্যই হবে। আমি হয়তো দেখে যেতে পারবো না। কিন্তু তা হবে।’

হচ্ছেও তাই, বাংলাদেশের অগ্রগতির ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, এগিয়ে নিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। জাতির পিতার উন্নয়ন ভাবনাকে ধারণ করে তারই রক্ত এবং আদর্শের উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের জন্য অনুকরণীয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, বাংলাদেশকে আজ বিশ্ববাসী সম্মান করে, বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন দেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার। আমরা বলতে পারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলার পতাকা আত্মমর্যাদায় বলীয়ান হয়ে উড়বে বিশ্বের বুকে।

লেখক: ভাইস চ্যান্সেলর, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এইচআর/ফারুক/এমএস