স্বাস্থ্য

তামাক সেবন বন্ধ হলে এক-তৃতীয়াংশ ক্যানসার রোধ হবে

কোনো পরিবারে ধূমপায়ী বা তামাক সেবনকারী থাকলে সে পরিবারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু তামাক সেবন বন্ধ হলে বিশ্ব যেমন তামাকমুক্ত হবে, এক-তৃতীয়াংশ ক্যানসার রোধ করাও সম্ভব হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল আয়োজিত ‘তামাক ও ক্যানসার’ বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ক্যানসারসহ নানা ধরনের রোগ সৃষ্টিতে তামাক সেবন অনেকটাই দায়ী। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সঠিক বাস্তবায়ন জরুরি। কৃষকদের তামাক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করতে সচেতনতামূলক কাজ করতে হবে।

ধূমপান ও তামাক গ্রহণে তরুণ প্রজন্মকে দূরে থাকার আহ্বান জানান এ চিকিৎসক।

Advertisement

সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আমিরুল মোর্শেদ বলেন, কোনো পরিবারে ধূমপায়ী বা তামাক সেবনকারী থাকলে ওই পরিবারে ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে। ধূমপানে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তামাকমুক্ত দেশ গড়তে আমাদের নিজেদের আগে তামাক সেবন বন্ধ করতে হবে। তাহলেই বিশ্ব তামাকমুক্ত হবে।

জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটি শিশুর জন্য মায়ের গর্ভও একটা পৃথিবী। পরিবারের কেউ ধূমপান করলে এর প্রভাব গর্ভে থাকা শিশুর ওপরেও পড়ে। নিরাপদ থাকার জন্য পরিবারে তামাক সেবন বা ধূমপান করা যাবে না।

তিনি বলেন, বন ধ্বংস করে তামাকজাত পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। সরকার যদি এক্ষেত্রে তামাক উৎপাদন রোধে কঠিন না হয় তাহলে এটা আরও বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত। যত্রতত্র ধূমপানের প্রতিবাদ করা দরকার। অথচ আমরা ধূমপায়ীকে বলতে পারি না যে, আপনার ধূমপান করার জায়গা এটি নয়।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

আরএসএম/এমকেআর/এএসএম