ধর্ম

হজ-ওমরাহ গুনাহ মাফের উপায়

গুনাহ মাফের উপায়গুলোর মধ্যে হজ-ওমরাহ অন্যতম। ওমরাহ করলে গুনাহ মাফ হয়। হজের বাহন পশু হোক আর যান্ত্রিক হোক; সেই পশুর প্রতি কদম কিংবা যান্ত্রিক বাহনের চলার প্রতি পদক্ষেপে গুনাহ মাফের সুযোগ রয়েছে। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ ও ওমরায় গুনাহ মাফের বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সেগুলো কী?

Advertisement

১. ওমরাহ করলেই গুনাহ মাফ হয়। হাদিসে এসেছে-নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘একটি ওমরাহ পরবর্তী ওমরাহ পর্যন্ত কৃত সব পাপের জন্য কাফফারা (গুনাহ মোচনকারী) হয়। আর ‘হজে মাবরূর’ তথা বিশুদ্ধ ও কবুল হজ জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (বুখারি, মুসলিম)

২. হজ যাত্রায় গুনাহ মাফহজে যাওয়ার বাহনে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুনাহ মাফ শুরু হয়। বাহন যদি পশু হয় তবে পশুর প্রতি কদমে গুনাহ মাফ হয়। বাহন যা-ই হোক না কেন, তা চলার সঙ্গে সঙ্গে হজের ইচ্ছা পোষণকারীর গুনাহ মাফ হতে থাকে। হাদিসে এসেছে-হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘হাজির উটের প্রত্যেকবার পা ওঠানামার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার আমলনামায় একটি করে সওয়াব লেখেন অথবা তার আমলনামা থেকে একটি গুনাহ মোচন করেন কিংবা এর মাধ্যমে তিনি তার মর্যাদা উন্নীত করেন।’ (বায়হাকি)

৩. হজ যাত্রায় সওয়াবনবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তুমি (হজ করার জন্য) বাইতুল্লাহর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হও; তখন থেকে তোমার বাহন যতবারই পা ওঠানামা করে প্রত্যেকবারের বিনিময়ে মহান আল্লাহ তোমার জন্য একটি সওয়াব লেখেন এবং একটি গুনাহ মুছে দেন।’ (আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব)

Advertisement

৪. হজ-ওমরায় দারিদ্র মুক্তি পরপর হজ-ওমরাহ করাও গুনাহ মাফের উপায়। যারা পরপর হজ-ওমরাহ করে আল্লাহ তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। হাদিসে এসেছে-নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ’তোমরা হজকে ওমরাহ ও ওমরাহকে হজের অনুগামী করো। (অর্থাৎ বারবার হজ-ওমরাহ করো) কারণ হজ-ওমরাহ উভয়েই দারিদ্র্য থেকে মুক্তি এবং গুনাহসমূহকে সেরূপ দূর করে দেয় যেরূপ কামারের হাপর লোহার ময়লা দূর করে দেয়।’ (নাসাঈ, তিরমিজি)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হজ-ওমরার প্রতি মনোযোগী হওয়া। গুনাহ মাফ, সওয়াব ও দারিদ্র থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বারবার হজ ও ওমরাহ করার চেষ্টা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বার বার হজ ওমরাহ করার মাধ্যমে গুনাহ মাফ, দারিদ্র ও সওয়াব পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

Advertisement