তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে লাভ হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। সরকার তাদের সহযোগিতা করবে।
Advertisement
তিনি বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠ থেকে সরে যায়, তাহলেও যথাসময়েই নির্বাচন হবে। কারও জন্য অপেক্ষা করা হবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, থাকবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে রাজপথে জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ যৌথসভা করেন।
যৌথসভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ছাত্রদলকে মাঠে নামানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেখবে কত ধানে কত চাল। সব কিছুর শেষ আছে। মির্জা ফখরুল, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে পরিণাম ভালো হবে না।
Advertisement
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসের জবাব রাজপথে দেওয়া হবে। সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে ইউনিয়ন পর্যায়েও উৎসব হবে। বিএনপি ছাত্রদলকে দিয়ে রাজপথে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এর উপযুক্ত জবাব দেবে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করায় বিএনপির বুকে বিষজ্বালা উপচে পড়ছে। তবুও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মানেই শেখ হাসিনা। তার সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু। শত মিথ্যাচারের পরও পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি ছিলেন হিমালয়ের মতো অটল। এটি নিয়ে এখনও বিএনপি অবিরাম মিথ্যাচার করছে।
Advertisement
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ছাত্রদলকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু সব কিছুর শেষ আছে। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন ও মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুর সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসইউজে/কেএসআর/এএসএম