নেপালে বিধ্বস্ত প্লেনটিতে ২২ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। একজনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দেশটির সেনা ও নৌবাহিনীর বিশেষ টিম।
Advertisement
বেসরকারি এয়ার লাইন ‘তারা এয়ার’র ওই প্লেনটি নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে রোববার (২৯ মে) সকালে জমসম বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয়েছিল। অবতরণের পাঁচ মিনিট আগে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে প্লেনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্লেনটিতে ১৩ জন নেপালি, চারজন ভারতীয় ও দুই জন জার্মান নাগরিক ছিলেন। নেপালের সেনাবাহিনী জানায়, নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মুস্তাং জেলায় প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
সোমবার (৩০ মে) দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ জানান, ধ্বংসাবশেষ থেকে ২০ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে আরেকটি মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, সর্বশেষ নিখোঁজ ব্যক্তিকেও উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
Advertisement
এদিকে, নেপালের সরকার প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে একটি প্যানেল গঠন করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে কাঠমাণ্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়েতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে ৫১ আরোহী নিহত হন। মোট ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল ওই প্লেনটি।
এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিলে আরও একটি প্লেন দুর্ঘটনায় তিনজন মারা যান নেপালে।
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর/জিকেএস
Advertisement