ধর্ম

শিশুর শিক্ষায় ইসলামের নির্দেশ

আদর্শ পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে শিশুকাল থেকেই নিজ নিজ সন্তানদের নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়ার বিকল্প নেই।  নবিজী বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের সন্তানদের স্নেহ কর এবং তাদের আদর্শ শিক্ষায় গড়ে তোলো।’

Advertisement

আজ যারা শিশু আগামী দিনে তারাই যুবক। সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনে তারাই দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। তারাই হবে সুশোভিত ও গৌরবময় ভবিষ্যতের পথনির্দেশক। প্রত্যেক শিশুর মাঝেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের সুন্দর পৃথিবী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা।’ (সুরা কাহফ : আয়াত ৪৬)

ইসলামের নির্দেশ

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের মহৎ করে গড়ে তোলো এবং তাদের উত্তম আদব তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।’ (মুসলিম

Advertisement

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, ‘ ‘সন্তানদের আদব তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া সম্পদ দান করা অপেক্ষা উত্তম।’ (বায়হাকি)

ইসলামের বিধান হলো, কোনো পিতাই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের উপার্জনের জন্য বাধ্য করতে পারবেন না। তিনি উপার্জন করতে পারলে করবেন, নতুবা ঋণ করে তাদের খরচের ব্যবস্থা করবেন, যেন তারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না থাকে। শিশুরা প্রাপ্তবয়স্ক হলেও শিক্ষা চলাকালে পিতাই তাদের খরচ চালিয়ে যাবেন।’ (ফাতাওয়া আলমগীরী, রদ্দুল মুহতার)

শিশুদের আদর্শ শিক্ষার ব্যাপারে ইসলামই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করে। কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল করেন। যার প্রথম ঘোষণাই ছিল- ইকরা; পড়ুন। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নতি কল্পনা করা যায়।

ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র তথা দুনিয়া ও পরকালের সফলতায় পৌঁছার অন্যতম উপায় হচ্ছে আদর্শ জাতিগঠন ও উত্তম শিক্ষাগ্রহণ। ইসলাম শিশুকাল থেকেই এ শিক্ষা গ্রহণেরই দিকনির্দেশনা দেয়। জাগতিক ও পারকালীন জীবনের সফলতার জন্য শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক সুশিক্ষায়িই হতে পারে মুক্তির একমাত্র উপায়। শিশুরা ছোট বয়সে কোরআন-সুন্নাহর ‍উন্নত শিক্ষা পেলে স্বার্থক হবে দুনিয়া ও পরকালীন জীবন।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে নিজ নিজ সন্তানদের শিশু বয়স থেকে ইসলামি শিক্ষায় গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম