অর্থনীতি

ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি: মন্ত্রী

বোরোর ভরা মৌসুমে চালের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে।

Advertisement

সোমবার (৩০ মে) সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ‘বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে এখানে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এদেশে খাদ্য সংকট হবে না।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় তার সবই করা হবে। ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে। তিনি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বোরো সংগ্রহ সফল খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ ধান সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। যেসব মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ চাল আগে দেবে প্রয়োজনে তাদের আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানান সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বিভিন্ন করপোরেট হাউজ বাজার থেকে ধান-চাল কিনছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কৃত্রিম কোনো সংকট তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

ভোক্তা যেন আতঙ্কিত না হয় সেজন্য সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।

‘ধান ও চাল সংগ্রহকালে কোনো কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দিয়ে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন।’

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার পরীক্ষা করে ধানসহ কৃষককে গুদামে পাঠালে তাদের ভোগান্তি কমবে। বেশি ময়েশ্চার বা ভেজা ধান ফেরত নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না।

মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সেই চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

আরএমএম/এমএএইচ/এএসএম