বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেছেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আর কত শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে তা জানাতেও ইউজিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ এখন পর্যন্ত কতজনকে দেওয়া হয়েছে, তা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কত টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, সে তথ্যও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ শতাংশ গরিব, মেধাবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগের বিধান বাস্তবায়ন না করায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
এ সংক্রান্ত বিষয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনাননি নিয়ে সোমবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের লেখাপাড়ায় আইন বাস্তবায়নে ইউজিসির কী ভূমিকা রয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ এখন পর্যন্ত কতজনকে দেওয়া হয়েছে, তা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলা হয়।
একই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কত টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, সে বিষয়ের তথ্যও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এফএইচ/ইএ/এমএস