ফিচার

পাহাড়ের কোলে যেন এক স্বপ্নপুরি গ্যান্টিং হাইল্যান্ড

তপ্ত গরম। শুধু কুয়ালালামপুর, পুত্রজায়া নয় মালয়েশিয়ায় সব পর্যটন স্পটেই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। পর্যটকরা হাপিয়ে উঠছেন। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম গ্যান্টিং হাইল্যান্ড। পাহাড়ের বুকে যেনো মেঘের কোলাহল। মাঝেমধ্যেই মেঘ ভিজিয়ে দেয় শরীর। কখনও ঝির ঝির বৃষ্টি। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগে হাইল্যান্ডে পাঁচ তারকা হোটেলসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাই রয়েছে। সব মিলিয়ে পাহাড়ের কোলে যেন এক স্বপ্নপুরি। এই স্বপ্নপুরি গ্যান্টিং হাইল্যান্ড মালয়েশিয়ার এখন অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।সমতল ভূমি থেকে প্রায় তিন হাজার আটশ” ফুট উপরে গ্যান্টিং হাইল্যান্ড। কুয়ালালামপুর থেকে বাসযোগে আঁকাবাকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় গ্যান্টিংয়ে। তবে ওই উচ্চতায় বাস উঠে না। বাস টার্মিনাল থেকে আরও এক হাজার আটশ’ ফুট যেতে হয় ক্যাবল কারে। পাহাড়ের উপর দিয়ে ক্যাবল কারে দুলে দুলে রোমাঞ্চকর এক যাত্রা। এই ক্যাবল কারে চড়ে হাজারো পর্যটক প্রতিদিন ভিড় জমান গ্যান্টিংয়ে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও উঠা যায় হাইল্যান্ডে। অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যান। হাইল্যান্ডে বিশাল আকৃতির ১৪ তলা ভবনে রয়েছে ৫ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।  চারটি পাঁচ তারকা হোটেল, অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্ট, ডিসকো বার, ম্যাসাজ সেন্টার, থিম র্পাক, গেম জোন, শপিং সেন্টারসহ বিনোদনের সব ব্যবস্থা রয়েছে গ্যান্টিং হাইল্যান্ডে। পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিশ্চিত করায় এশিয়া ছাড়াও বিশ্বের সব প্রান্তের ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে এই পাহাড়। চব্বিশ ঘণ্টায় কখনই কোলাহল থামে না এই পাহাড়ের।শুক্রবার দুপুরে বাস আর ক্যাবল কারে গ্যান্টিং হাইল্যান্ডে পৌঁছে দেখা গেলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লিলাভূমিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। শত শত মানুষ ক্যাসিনো খেলছেন। নেশায় বুদ হয়ে আছেন অনেকে। আর সন্ধ্যা নামতেই ডিসকোর হাইবিটে গমগম করে হাইল্যান্ডটি।এই কোলাহল থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখা গেলো ছুটে চলছে মেঘ। পূর্ণ চাঁদ মাঝে মধ্যেই ঢেকে যাচ্ছে মেখে। গোলাম মাসুম নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফ্রান্সের নাগরিক গ্যান্টিং হাইল্যান্ডের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শিল্প সংস্কতির লীলাভূমি প্যারিস। আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নান্দনিক কেন্দ্র মনে হলো এই গ্যান্টিং হাইল্যান্ড। ইউপরোপীয়ানদের মালয়েশিয়ার সবচেয়ে উপভোগ্য কেন্দ্র মনে হয়েছে গ্যান্টিং। কারণ মালয়েশিয়ার সব স্থানে তীব্র গরম, একমাত্র এখানেই ব্যতিক্রম এই শীতল হাওয়া তাদের কাছে অনেক উপভোগ্য।আরএম/এআরএস/এমএস/এসকেডি

Advertisement