নোয়াখালীর কবিরহাটে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মারা গেছেন বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। ছোট ভাই মো. আব্দুল হাই মাস্টারের (৪৩) লাঠির আঘাতে মারা যান তিনি।
Advertisement
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা আক্তার (৪০) বাদি হয়ে মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৯ মে) রাজধানীর জিগাতলা থেকে আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, গত ২১ মে বিকেলে কবিরহাটের নবাবপুরে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে দেলোয়ার ও আব্দুল হাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন আব্দুল হাই। এতে মাটিতে লুটিয়ে পরেন দেলোয়ার।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালীর মাইজদীতে গুডহিল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় ঢাকায়। কিন্তু ঢাকা আনার আগেই মারা যান তিনি।
Advertisement
সিআইডি আরও জানায়, এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সিআইডি নজরদারি শুরু করে। পরে ২২ মে ভিকটিমের স্ত্রী সাজেদা আক্তার কবিরহাট থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় আব্দুল হাই মাস্টার ও তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াছমিন শিউলীকে (৩৮)। মামলার পর ছায়াতদন্ত শুরু করে সিআইডি।
তদন্তের একপর্যায়ের প্রধান আসামি আব্দুল হাইকে ঝিগাতলা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, ভিকটিম ও অভিযুক্ত আব্দুল হাই তারা পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন। সবাই বিবাহিত। সব ভাই একই বাড়িতে বসবাস করলেও আলাদা আলাদা ঘরে তাদের ভিন্ন ভিন্ন সংসার। এর মধ্যে আব্দুল হাই মাস্টার সব ভাই-বোনদের মধ্যে ৪০ শতাংশ বেশি পৈতৃক সম্পত্তি ভোগ করছিলেন। এ নিয়ে তার বড় ভাই দেলোয়ারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সবশেষ গত ২১ মে জমি ভাগাভাগি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপরই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এ বিষয়ে পরবর্তী আইন প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।
টিটি/জেডএইচ/জিকেএস