বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
Advertisement
২৯ মে (রোববার) ভোরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দর মসজিদ কমপ্লেক্সে এবং অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২২’র মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
শান্তিরক্ষী দৌড়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জিন লুইস, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের শান্তিরক্ষীগণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তঃবাহিনী সংস্থাসমূহের মনোনীত প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকালে শাহাদতবরণকারীদের জন্য এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জিন লুইস। এসময় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, তিন বাহিনীর প্রধান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সামরিক উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব, বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
Advertisement
এইচএ/ইএ/জিকেএস