দেশজুড়ে

বন্যার পানিতে ডুবে আছে উপহারের অ্যাম্বুলেন্স

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। হাওরের তলানির এই উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৬০ লাখ টাকার একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

তবে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলায় থাকতে থাকতে এখন সেটি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছে, চালক না থাকায় ও পরিচালনা ব্যয়বহুল হওয়ায় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি হাওর ও নদীর পানি বাড়ায় সেটি বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।

এদিকে হাওরের পানিতে ডুবে থাকা নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটির ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে সেটি নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। শাল্লা উপজেলা সদরের বাসিন্দা রণজিৎ কুমার দাস বলেন, কয়েক বছর হয়েছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলা হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি এখন পানিতে ডুবে আছে। অযত্নের কারণে সেটি এখন নষ্ট হওয়ার পথে।

Advertisement

শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আক্তার বলেন, আমি শাল্লায় নতুন যোগদান করেছি। যতটুকু জানতে পেরেছি নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরেই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এই বিষয়টি সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি পানি থেকে তুলতে চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে অনুরোধও করা হয়েছে।

শাল্লা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি গত চার-পাঁচদিন ধরেই পানিতে পড়ে আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অ্যাম্বুলেন্সটি তোলার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। পাঁচদিন আগেই ১০ জন শ্রমিক পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা এটি পানি থেকে তুলতে পারেননি।

তিনি বলেন, উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এই বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দীর্ঘদিন এটি নিয়ে কেউ কথা বলেনি। যাদের দায়িত্ব তারাও উদ্যোগ নেয়নি। এখন সবার উদ্যোগে এটি পানি থেকে তোলা হবে।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহমদ হোসেন বলেন, নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধনের পর থেকেই বিকল হয়ে রয়েছে। এটি পানিতে ডুবে গেছে বলে জানা গেছে। অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয়ভাবে চেষ্টা চলছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

Advertisement

লিপসন আহমেদ/এমআরআর/জিকেএস