মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য নিজে আবেদন করবেন না বলে জানিয়েছিলেন কিংবদন্তি লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির জন্য সরকার নির্ধারিত নিয়মে আবেদনের অনুরোধের পরও তাকে রাজি করানো যায়নি।
Advertisement
১৯৭১ সালের যুক্তরাজ্যে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে’র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোজাম্মেল আলী এ কথা জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে আয়োজিত আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় গাফ্ফার চৌধুরীর মেয়ে ড. তনিমা চৌধুরী বলেন, বাবা ছিলেন তাদের জীবনে বটগাছের মতো। পিতা হিসেবে তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণা। সিদ্ধান্ত গ্রহণে সব সময় তিনি সহযোগিতা করতেন। তবে মৃত্যুর ৩৫ দিন আগে বিনিতার মৃত্যুতে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। দুজন দুই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ডাক্তারদের অনুমতি না মেলায় পিতা-কন্যার শেষ দেখা হয়নি।
Advertisement
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, ১৫ আগস্টের কষ্ট আর বেদনাকে সঙ্গে নিয়ে মূঢ় হয়ে থাকেননি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি প্রতিবাদ করেছেন। ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনমত পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতি ঘৃণা জানিয়ে, তিরস্কার করে বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রথম লেখাটি লিখেছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের মডারেটর সাংবাদিক তানভীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর নামে ফেলোশিপ প্রবর্তনের প্রস্তাব দেন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তৃতা করেন ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান, ব্যারিস্টার কাজী আশিকুর রহমান, লিংকনস ইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য পলি জাহান ও শওকত আলী বেনু।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র অ্যালামনাই ও ম্যানেজমেন্ট সদস্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন ব্যারিস্টার অজয় রায় রতন, সোনালী ব্যাংক ইউকের সাবেক সহকারী প্রধান নির্বাহী আমীরুল ইসলাম, প্রদীপ মজুমদার, ঝুমুর দত্ত, পুস্পদেব, ফাতেমা লিলি, চিত্রকর মাসুদ মিজান, মোকাররম হোসেন, সাংবাদিক জুনায়েদ জিলানী, আরিফুর রহমান, সুলতানা রশীদ নাসরিন প্রমুখ।
Advertisement
এমএইচআর/জেআইএম