ভোক্তা পর্যায়ে বছরের পর বছর বকেয়া পড়ছে গ্যাস বিল। কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে ভোক্তারা বিল পরিশোধে সময় চাইছেন। দীর্ঘ বকেয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলছেন, প্রতিনিয়ত বাড়ছে অবৈধ সংযোগ, এতে পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ভোগান্তির মুখে বিরক্ত হয়েই বছরের পর বছর বিল বকেয়া রাখছেন তারা।
Advertisement
রোববার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীচরের টেকেরহাট এলাকার জয়নাল আবেদিনের বাসায় অভিযান চালায় তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
এদিন ওই এলাকায় রসুলপুর, খলিফাঘাট, বড়গ্রাম, টেকেরহাট, হাসাননগরে তিতাসের ২৫টি দল একযোগে অভিযান পরিচালনা করে।
টেকেরহাট এলাকার ৭৭৪ নম্বর বাসায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বকেয়া বিল যাচাইয়ে অভিযান চালায় তিতাসের একটি আভিযানিক দল। ওই বাসায় গ্যাসের দুটি লাইন চালানো হয়। অথচ ২০১৫ সালের পর থেকে পরিশোধ করা হয় না বিল।
Advertisement
বাসার মালিক জয়নাল আবেদিন বলছেন, গ্যাস কম পাওয়ায় ২০১৬ সালের পর থেকে তিনি বিল পরিশোধ করেন না। এসময় বকেয়া বিলের কাগজ দেখতে চাইলে তা দেখাতে রাজি হননি তিনি।
তিতাসের বর্তমান গ্যাস বিল বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দ্বিমুখী প্রতি চুলার মাসিক বিল ৯৭৫ টাকা। জয়নাল আবেদিনের বাসায় এরকম দুটি চুলা থাকায় তার মাসিক বিল আসে ১ হাজার ৯৫০ টাকা। সে হিসাবে গত প্রায় সাত বছরে তার বিল বকেয়া পড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
গ্যাস বিল পরিশোধ না করার কারণ জানতে চাইলে এ ভোক্তা জাগো নিউজকে বলেন, এলাকায় প্রচুর অবৈধ সংযোগের কারণে ঠিকমতো গ্যাস পাই না। পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে বিলও দিচ্ছি না। গ্যাসই তো পাই না, বিল দেবো কেন।
এদিন কামরাঙ্গীচরের টেকেরহাট এলাকার ৩২টি বাসার গ্যাস সংযোগ ও বিল যাচাই করে তিতাসের আভিযানিক দলটি। এর মধ্যে চারটি বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
Advertisement
অভিযান পরিচালনাকারী তিতাসের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, এত বছর ধরে বকেয়া বিল পরিশোধ করা হচ্ছে না। এখন বলছে গ্যাস কম পাওয়ায় বিল দিচ্ছে না। এটা কী করে সম্ভব? এখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে বিল পরিশোধে সময় চাইছে। যাদের বকেয়া ও অবৈধ সংযোগ আছে তাদের লাইনগুলো বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। বিল পরিশোধ হলে বিচ্ছিন্ন লাইনে দ্রুতই সংযোগ দেওয়া হবে।
আরএসএম/এমকেআর/জিকেএস