নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করার মাধ্যমে সহজেই ওজন ঝরানো সম্ভব। তবে অবশ্যই আপনি দিনে কতটুকু খাবার খাচ্ছেন, তা পরিমাপ করাও জরুরি।
Advertisement
অনেকেই নিজের ইচ্ছেমতো খাবার পরিমাপ করেন। তবে ওজন কমাতে হলে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে খাবার পরিমাপ করে খেতে হবে। সেক্ষেত্রে বাটির বিকল্প কি আর কিছু হতে পারে!
খাবারের পোরশন কন্ট্রোল বা অংশ নিয়ন্ত্রণ ওজন কমানোর গোপন চাবিকাঠি। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত খাওয়া অবাঞ্ছিত ওজন বাড়ার জন্য দায়ী।
সামনে বেশি খাবার দেখলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা সবার মধ্যেই থাকে। এ কারণে ভারতের পুষ্টিবিদ ও ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক পূজা ভার্গব ‘বল মেথড বা বাটি পদ্ধতির’ সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন!
Advertisement
তার ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ওজন কমাতে চাইলে বাটি পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এই পদ্ধতিতে প্রধানত খাবারের অংশ পরিমাপ করার জন্য একটি ছোট বাটি বেছে নেওয়া হয়। যাতে আপনি অতিরিক্ত খাওয়ার সুযোগ না পান। যখন খাবেন বাটি ভরে খেলেই ওজন কমবে দ্রুত।
কীভাবে বাটি পদ্ধতি অনুসরণ করবেন?
>> প্রতিদিন আপনার খাবারের জন্য ৩টি ছোট বাটি নিন>> প্রতিটি বাটি আপনার পছন্দের খাবারে পূরণ করুন>> এর অতিরিক্ত কিছু খাবেন না>> বাটিতে দ্বিতীয়বার খাবার নেবেন না>> বাটির খাবার ছাড়া অন্য আইটেম খাবেন না>> যদি কোনো বাটিতে বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার থাকে তাহলে ৩ বাটির বদলে ২ বাটি খাবার খান>> প্রতিবেলার খাবারের জন্যই বাটি বেছে নিন।
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, প্লেট, চামচ ও গ্লাসের আকার আপনার খাওয়ার পরিমাণকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি বড় প্লেটে আপনার খাবার পরিবেশন করেন তবে পরিমাণটি কেবল ছোট বলে মনে হবে।
Advertisement
ফলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন। তবে ছোট পাত্রে খেলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
পুষ্টিবিদের মতে, যে কোনো খাবার শুরু করার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে শরীর আর্দ্র থাকবে পাশাপাশি ক্ষুধা ও খাওয়ার পরিমাণকেও কমাবে।
এমনকি খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চিবানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি কেবল খাবারকে সহজে হজম করে না, বরং মোট খাবারের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস