দেশের রাজনৈতিক সহনশীলতা নিশ্চিত হলে সমৃদ্ধির দৌড়ে নিঃসন্দেহে আমরাই প্রথমে থাকবো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। শুক্রবার বিকেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অর্থনীতি বিভাগের হীরক জয়ন্তী ও দ্বিতীয় অ্যালামনাই সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।ড. আতিউর বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পেছনে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণ থেকে মুক্তি, গণতান্ত্রিক অধিকার ও আত্মনির্ভরশীলতার অঙ্গিকার। মূলত পাকিস্তানের দুই অংশের চরম বৈষম্যের কারণেও বেগবান ছিল এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম। তবে স্বাধীন দেশের পথচলা শুরু হয় আলো-আঁধারের মধ্য দিয়ে। আলোর দিকটি ছিল দেশের জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরাধীনতা থেকে মুক্তির অদম্য আকাংক্ষা। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের মাধ্যমে সেটি পূরণ হয়। আর আঁধারের দিকটি ছিল দেশকে একটি দারিদ্রপীড়িত ও ভঙ্গুর অর্থনীতি। তবে নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য স্পৃহা দেশকে সে আঁধার থেকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে।দেশের অর্থনীতির আকার এখন ১৬ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থনীতি এখন জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৫ তম এবং ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩৩ তম স্থানে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গভর্নর বলেন, লেখাপড়া শেষে চাকরি না জুটলে স্ব-উদ্যোগের কাজে নেমে পড়তে হবে।অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।বিভাগের সহকারী অধ্যাপক যিনাতুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, অধ্যাপক সনাৎ কুমার সাহা ও অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কামাল মুজেরী এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দু’দিনব্যাপী হীরক জয়ন্তী এবং দ্বিতীয় এলামনাই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আতিউর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাশেদ রিন্টু/এএইচ/এমএস
Advertisement