ডলারের লাগাম টেনে ধরতে বেশ কিছু পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যবহৃত প্রসাধনসামগ্রী। তবে এ খাতের ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, শুল্ক বাড়ার ফলে দেশে নকল প্রসাধনসামগ্রী বেড়ে যাবে।
Advertisement
বর্তমানে ডলারের ঊর্ধ্বগতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন ও ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বেশ কয়েকটি পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়ায় সরকার।
এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি ফল, বিদেশি ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকসসহ ১৩৫টি এইচ এস কোডভুক্ত পণ্য। এরই মধ্যে এই শুল্ক কার্যকর হয়েছে।
এদিকে প্রসাধনসামগ্রী খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে চাহিদার ৪০ শতাংশই কসমেটিকস আমদানি হয়। রূপচর্চার ক্রিম, লোশন, লিপস্টিক, সুগন্ধিসহ শতাধিক প্রসাধনী ভারত, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এসব পণ্যে শুল্ক বাড়ায় বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানে খরচ বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে নকল প্রসাধনীর ব্যবহার।
Advertisement
বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইমপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জহিরুল হক ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, যেসব গ্রাহক একটু ভালো মানের কসমেটিকস ব্যবহার করতেন, তারা এখন আর কসমেটিকস ব্যবহার করবেন না। তারা তাদের ব্রান্ড পরিবর্তন করবেন। ফলে সংকুচিত হয়ে পড়বে এই বাজার। অপরদিকে নকল প্রসাধনী বেড়ে যাবে। এরই মধ্যে বেড়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, দেশে কসমেটিকসের বাজার অনেক বড়। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ আমাদের এখানেই উৎপাদন হয়। বাকিটা করতে হয় আমদানি।
অনলাইনে প্রসাধনসামগ্রী বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ী রিয়াজ আরমান বলেন, যারা বেশি পরিমাণে কসমেটিকস আনে, শুল্ক বাড়লে তারা আমদানিতে অনুৎসাহিত হবে। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে বেশি দামে নকল পণ্য কিনতে হতে পারে।
তিনি বলেন, বেশি দামে পণ্য এনে তা গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা কঠিন। কারণ প্রসাধনী একটু সৌখিন জিনিস। মানুষের হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকলে বিয়ে বা অন্য কোনো উৎসবে এগুলো কেনে। আগামীতে প্রসাধনীর দাম বাড়বে।
Advertisement
তবে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন বলেন, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত কসমেটিকস যথেষ্ট মানসম্পন্ন এবং দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
এসএম/জেডএইচ/