আমদানি ব্যয় কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিদেশি ফল, ফুল ও প্রসাধনসহ ১৩৫ টি পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বসানো হয়েছে। এসব পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন তিন শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) আরোপ করা হয়েছে। সোমবার (২৩ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এরপর থেকেই দেশের বাজারে বিদেশি ফলের দাম বাড়তে থাকে।
Advertisement
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পর বিদেশি ফল আমদানি কমেছে। একই সঙ্গে আপেল, মাল্টা, আঙুর, আনারসহ বিদেশি ফলের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ফলের মৌসুম হওয়ায় বিদেশি ফলের চাহিদা কিছুটা কম।
শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর সড়ক এলাকার ফল বাজার ঘুরে দেখা যায়, কমলার দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সবুজ আপেল ২০০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এছাড়া লাল আপেলের দামও বেড়েছে। আনার ও মাল্টা কেজিতে যথাক্রমে ২০ ও ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ ও ২০ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানের লাল আঙুরের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়ত থেকে দাম বেশি হওয়ায় ও পণ্য কমে যাওয়ায় বিদেশি ফলের দাম একটু বেশি। তবে তরমুজ, আমসহ পর্যাপ্ত দেশি ফল থাকায় এর কোনো প্রভাব পড়ছে না।
Advertisement
দাম বাড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ফল আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। আমাদের বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। আমদানি খরচ, শুল্ক সব মিলিয়ে প্রতিদিন অনেক টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। এজন্য অনেকে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া দেশিয় ফলের এই মৌসুমে বিদেশি ফল খুব কম আমদানি করা হয়।
শুল্ক বাড়ানোর প্রসঙ্গে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারে দাম বেড়েছে, এজন্য আরডি বাড়ানো হয়েছে। এই উদ্যোগটা সরকার আমাদের ভালোর জন্য নিয়েছে। কিন্তু ফল তো পুষ্টি যোগায়। এটা বিলাসবহুল পণ্য কীভাবে হয়? সরকার যে কোনো সিদ্ধান্ত নিক অসুবিধা নেই। আমাদের চাহিদার মাত্র ৩৫ থেকে ৩৬ শতাংশ ফল উৎপাদন হয়। বাকিটা আমদানি নির্ভর। আপেল, আঙুর শীত প্রধান দেশে হয়। বাংলাদেশে হয় না।
তিনি আরও বলেন, বিদেশ ফল আমদানিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে তিন হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স পায় সরকার। তাই ফলকে বিলাস পণ্য হিসেবে বাতিল করতে হবে। এটাকে খাদ্য পণ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে।
এসএম/আরএডি/এএসএম
Advertisement