পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে অভিষেক হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানের। ওই ম্যাচে আফ্রিদি-হাফিজদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে বিশ্বরেকর্ড। সে থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিংয়ে প্রধান ভরসাই হয়ে উঠলেন মুস্তাফিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে জিতিয়েছেন বাংলাদেশকে। তবে, শেষ দুই ম্যাচের জন্য তাকে বিশ্রামে রাখা হয়। যদিও হালকা ইনজুরি ছিল মুস্তাফিজের; কিন্তু, শেষ দুই ম্যাচে সাৎক্ষীরা এক্সপ্রেসের অভাব হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেলো মাশরাফিরা।সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সিবান্দা-ওয়ালারের কাছে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। কোন বোলারই এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু। এদিনও টাইগার বোলারদের বেদম পিটুনি দিলেন মাসাকাদজা-ওয়ালাররা। বিপিএল তারকা রনি, অধিনায়ক মাশরাফি থেকে শুরু করে সাকিবও বাঁচেননি তাদের হাত থেকে। তাই এদিন মাঠে মুস্তাফিজের অভাব ভালোই টের পেয়েছেন মাশরাফি অ্যান্ড কোং। এদিনও বার বার বোলার পরিবর্তণ করেও কাঙ্খিত সাফল্য পাননি মাশরাফি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮১ রানের লড়াকু চ্যালেঞ্জ ঘুরে দিয়েছে সফরকারীরা। তৃতীয় ম্যাচেও মুস্তাফিজের অভাব বেশ টের পেয়েছিল মাশরাফিরা। কাটার মাস্টারের অনুপস্থিতি বাংলাদেশ দলকে বেশ ভুগিয়েছিল। মোহাম্মদ শহিদ কিংবা আবু হায়দার রনিরা কোনভাবেই প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদে ওপর। যে কারণে মাসাকাদজারা বাংলাদেশের সামনে ছুড়ে দিয়েছিল ১৮৭ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ।ক্যারিয়ারে ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মুস্তাফিজ উইকেট নিয়েছেন ১০টি; কিন্তু উইকেট নেয়ার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো, ধুম-ধাড়াক্কা এই সংস্করণে ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৫.৪৫ করে। সময়মত যেমন ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারতেন মুস্তাফিজ, তেমনি রান দেয়ার ক্ষেত্রে বেশ কৃপণ হয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতেও জুড়ি নেই তার।আরটি/আইএইচএস/এমএস
Advertisement