ট্রাভেল ট্যাক্স বা ভ্রমণ কর সম্পর্কে মোটামুটি সবারই কমবেশি ধারণা আছে! সড়কপথে ভ্রমণের জন্য যে কর প্রদান করা হয় সেটিই মূলত ট্রাভেল ট্যাক্স। যদিও এই ভ্রমণ কর পরিশোধ করা বেশ ঝক্কির কাজ ছিল একসময়।
Advertisement
তবে ডিজিটাল এই যুগে এখন আর ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল বা নিউমার্কেট শাখায় যেতে হবে না। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিশোধ করতে পারবেন ট্রাভেল ট্যাক্স।
২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানায়, এখন থেকে অনলাইনেই ভ্রমণ কর দেওয়া যাবে। তবে কীভাবে অনলাইনে ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে হয় তা জানা নেই অনেকেরই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ধাপে ধাপে কীভাবে কাজটি করবেন-
অনলাইনে ভ্রমণ কর প্রদানের জন্য প্রথমে ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে। তারপর উপরের বেশ কয়েকটি অপশনের মধ্য থেকে ‘ই-সার্ভিস’ এ ক্লিক করুন।
Advertisement
তারপর কয়েকটি সাব অপশন দেখতে পাবেন। ‘ইনকাম ট্যাক্স’ নামক অপশনে ক্লিক করলে আবার ৬টি অপশন খুঁজে পাবেন। তার মধ্য থেকে ৫ নম্বর অপশন অর্থাৎ ‘ট্রাভেল ট্যাক্স’ এ ক্লিক করুন।
দেখবেন একটি ভিন্ন পেইজ আপনার সামনে চলে এসেছে। একটি ফরম দেখতে পাবেন আপনি। প্রথমেই দেখবেন লাল অক্ষরে লেখা আছে ‘অনুগ্রহপূর্বক পাসপোর্টের সাথে মিল রেখে ফরমটি ইংরেজিতে পূরণ করুন।’
‘বেনাপোল, দর্শনা ও ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে ভ্রমণকারীরা এই সেবা পাবেন। শীঘ্রই অন্যান্য বন্দর এই সেবার আওতায় আসবে।’ নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, বর্তমানে মাত্র ৩ স্থলবন্দরের জন্য অনলাইনে ভ্রমণ কর পরিশোধ করা যাবে।
আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর, যাত্রীর ধরন (প্রাপ্তবয়স্ক নাকি শিশু), পরিবহনের ধরন (সড়কপথ, জলপথ, আকাশপথ), গন্তব্যস্থল, মোবাইল নম্বর যথাযথ স্থানে লিখুন।
Advertisement
এরপর ট্রাভেল ট্যাক্স হিসেবে সড়কপথে ৫০০ টাকা, জলপথে ৮০০টাকা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) প্রদান করতে হবে। সঙ্গে ৫-১২ বছরের শিশু থাকলে সড়কপথে ২৫০ টাকা ও জলপথে ৪০০ টাকা ভ্রমণ কর দিতে হবে।
তবে এর কমবয়সীদের জন্য কোনো ভ্রমণ কর দিতে হবে না। বিমান ও ট্রেনে সাধারণত টিকিটের সঙ্গেই ভ্রমণ কর কেটে নেওয়া হয় এজন্য আলাদাভাবে তা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
ফরমের সব তথ্য পূরণ করার উপর নীল রঙের ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার আপনার দেওয়া সব তথ্য পুনরায় দেখানো হবে। এ পর্যায়ে ভালো করে দেখুন সব তথ্য ঠিক আছে না। যদি কোথাও সংশোধনের প্রয়োজন হয় তাহলে ‘এডিট’ অপশনে ক্লিক করে ঠিক করুন।
এবার ‘প্রসিড টু পেমেন্ট’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর পেমেন্ট গেইটওয়েতে গিয়ে ‘সোনালী ব্যাংক, কার্ড ও মোবাইল ওয়ালেট’ এই ৩টি অপশন পাবেন। যার মধ্যে কার্ড ক্লিক করলে আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করতে পারবেন ভ্রমণ কর।
আর মোবাইল ওয়ালেট বেছে নিলে শুধু বিকাশের মাধ্যমে ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে পারবেন। সবগুলো প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পর ‘ই-চালান’ পেয়ে যাবেন। এটিই হলো আপনার ভ্রমণ কর পরিশোধের প্রমাণপত্র।
‘ই-চালন’ প্রিন্ট করে রাখতে হবে। একই সঙ্গে ফরমে দেওয়া আপনার মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস আসবে। সেটিও রেখে দিন। অনলাইনে ভ্রমণ কর প্রদানের ক্ষেত্রে আপনার খরচ সবে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। পাশাপাশি ট্রাভেল ট্যাক মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেও ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে পারবেন।
জেএমএস/জিকেএস