সিরিজ জয়ের লক্ষ্যেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। আর জিম্বাবুয়ে নেমেছিল, সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্যে। তবে লক্ষ্য পূরণে আপাতত এগিয়ে জিম্বাবুয়েই। কারণ, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অভিজ্ঞ হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে বাংলাদেশের সামনে ১৮০ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজ জিততে হলে, মাশরাফিকের করতে হবে ১৮১ রান।অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের ওপর আঘাতটা যেভাবে হেনেছিলেন মাশরাফি, তাতে বাংলাদেশেরই দিন ভাবা হচ্ছিল; কিন্তু মাসাকাদজা আর মুতুম্বামির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। দু’জনের ৮০ রানের জুটিই ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে দুরে ঠেলে দিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রনি, তাসকিন কিংবা সাকিবের মুহূর্তে মুহূর্তে জ্বলে ওঠা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সামনে বিশাল স্কোর গড়ে তোলে জিম্বাবুয়ে।অভিজ্ঞ হ্যামিল্টন মাসাকাদজাতেই বোলারদের নাভিশ্বাস উঠতে থাকে। তারওপর, মুস্তাফিজের অনুপস্থিতি বাংলাদেশকে কিভাবে দুরে ঠেলে দিল, সেটাও টের পেতে থাকলো মাশরাফিরা। শুরুতেই আঘাতটা হেনেছিলেন মাশরাফি। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ভুসি সিবান্দাকে। এরপরই অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ৮০ রানের জুটি গড়েন মাসাকাদজা আর মুতুম্বামি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটিটাকে ফেরান আবু হায়দার রনি। সফরকারী দলের ব্যাটসম্যান মাতুম্বামিকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান এই তরুণ।মাশরাফি-রনির আঘাতে ৮৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারালেও ম্যালকম ওয়ালার আর হ্যামিল্টন মাসাকাদজার প্রতিরোধে জিম্বাবুয়ে বড় ইনিংসেরই সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে। তবে, বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটিতে ভাঙন ধরালেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তিনি ফেরালেন ম্যালকম ওয়ালারকে।১৭তম ওভারে এসে আবারও জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত। এবার অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের হাতেই উইকেট বিলিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা। ৬ বলে ২ রান করে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মাসাকাদজা অপরাজিত থাকেন ৫৮ বলে ৯৩ রানে। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কাও মারেন তিনি। এর আগে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে চার ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সিবান্দাকে সাজঘরে ফেরান টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। ব্যক্তিগত ৪ রান করে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সফরকারী দলের এই ব্যাটসম্যান।তবে এরপর টাইগার বোলাদের উপর চড়াও হতে থাকে দুই ব্যাটসম্যান মাসাকাদজা ও মাতুম্বামি। নির্ধারিত পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তুলে নেন ৬২ রান। মাসাকাদজা ৪৮ রান নিয়ে ব্যাট করছে।এদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে দারুণ ফুরফুরে মেজাজে ছিল বাংলাদেশ; কিন্তু তৃতীয় ম্যাচ হেরে হঠাৎই ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। হারের জন্য যত না সমালোচনা শুনতে হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে দল নিয়ে অতিরিক্ত কাঁটাছেঁড়া করতে গিয়ে।সিরিজ জিততে জয়ের বিকল্প নেই মাশরাফিদের। আর তৃতীয় ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনতে চাচ্ছে তারাও।বাংলাদেশ দল:তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েস, কাজী নুরুল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আরাফাত সানি, তাসকিন আহমেদ, আবু হায়দার রনি।আইএইচএস/এমএস
Advertisement