আইন-আদালত

বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমস-মাইলসের দুই মামলা প্রত্যাহার

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারের অভিযোগে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস ও মাইলসের করা পৃথক দুটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আপস মীমাংসার মাধ্যমে মামলা দুটি প্রত্যাহার করা হয়।

ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর (এপিপি) তাপস কুমার পাল জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন শুনানিতে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাস, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, চিফ করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান এবং ভিএএসের প্রধান অনিক ধর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

গত ১০ নভেম্বর একই আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন দেশের জনপ্রিয় দুই সংগীত তারকা জেমস ও মাইলস। আদালত অভিযোগ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বাংলালিংকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। ওইদিন জেমস সশরীরে আদালতে উপস্থিত হলেও মাইলসের পক্ষে দুজন উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে জেমস ও মাইলসের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ‘নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ মাইলস ব্যান্ডের এ দুটি গান কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর ধরে ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলালিংককে মৌখিকভাবে বলা হয়। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের বলা হয়। বারবার বলার পরও তারা গানগুলো সরায়নি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ অক্টোবর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় যাওয়া হয়। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে ন্যায়বিচার চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের দ্বারস্থ হন জেমস-মাইলস।

এ আইনজীবী আরও বলেন, নগরবাউলের ছয়টি গান অনুমতি ছাড়া ১৪ বছর ধরে ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলালিংক। তাদের এ বিষয়ে বারবার বলার পরও গান সরানো হয়নি। আমরা গানগুলো সরাতে লিগ্যাল নোটিশও পাঠাই। তিন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও গান সরানোর জন্য বলা হয়। তাতেও গানগুলো সরিয়ে নেয়নি বাংলালিংক।

Advertisement

জেএ/এমকেআর/জিকেএস