ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় ভিড় করেছেন হাজারো নেতাকর্মী। তার আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা।
Advertisement
দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করবেন সম্রাট।
মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কর্মী মঈন উদ্দিন বলেন, আমাদের যুবলীগের সবচেয়ে কর্মীবান্ধব নেতা সম্রাট ভাই। তাকে একনজর দেখতে এখানে এসেছি। মহানগর দক্ষিণের হাজার হাজার নেতাকর্মী আদালতে এসেছেন তার প্রতি ভালোবাসার টানেই।
মহানগরের আরেক নেতা বলেন, আমরা নেতার মুক্তি চাই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই তিনি আত্মসমর্পণ করতে আসছেন।
Advertisement
এর আগে সোমবার (২৩ মে) সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক। এ মামলায় গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত।
এ মামলায় জামিন পাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলায় তিনি জামিন পান। চারটি মামলার সবগুলোতে জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট।
Advertisement
রমনা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরএসএম/জেএইচ/জেআইএম