কৃষি ও প্রকৃতি

টবে সহজ উপায়ে বেগুন চাষ করবেন যেভাবে

বেগুন আমাদের দেশের একটি ভীষণ জনপ্রিয় সবজি। পাশাপাশি এটি অনেক পুষ্টিকর সবজি হিসেবেও সমাদৃত। বেগুনের ব্যাপক চাহিদার কারণে এটি এখন টবেও চাষ করা হচ্ছে। বেগুন শীতকালীন সবজি হলেও এখন দেশে এটি সারাবছর চাষ করা হয়।

Advertisement

শহরে যারা বসবাস করেন তারা চাইলেই বাড়ির ছাদে টবে সহজে বেগুন চাষ করতে পারেন। জেনে নেওয়া যাক টবে সহজে বেগুন চাষের পদ্ধতি।

প্রথমেই জেনে নিতে হবে বেগুনের ভালো ফলন কোন ধরনের মাটিতে হয়। সাধারণত দেখা যায়, পলি দোআঁশ মাটি ও এটেঁল দোআঁশ মাটি বেগুন চাষের জন্য উপযোগী। ১০-১২ ইঞ্চি ব্যাসের মাটির টব, প্লাস্টিকের গামলা অথবা অর্ধেক করে কেটে নেওয়া প্লাস্টিকের ড্রামও ব্যবহার করা যেতে পারে। মাটি তৈরির সময় সমান পরিমাণে এঁটেল দোআঁশ বা পলি-দোআঁশ মাটি নিতে হবে। জৈব সার ব্যবহার করা যেতে পারে।

মাটি তৈরি হয়ে গেলে তা ১০-১২ দিন ধরে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর আবার মাটি খুঁচিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। দেশের বিভিন্ন হাটে-বাজারে বা শহরের নার্সারিতে বেগুনের চারা কিনতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বেগুনের চারা সংগ্রহ করা যেতে পারে।

Advertisement

তা হলে বীজ কিনে এনে ভালো করে শোধন করার পর ছয় ঘণ্টার মতো ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। বালি, কমপোস্ট ও মাটি সমপরিমাণে মিশিয়ে বীজ বপনের জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরি করতে হয়। বীজ বপনের পর মাসখানেকের মধ্যেই চারা টবে লাগানোর উপযুক্ত হয়ে যায়।

চারা তোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে শিকড়ের ক্ষতি না হয়। শিকড়ের সঙ্গে কিছুটা মাটি রেখে চারা স্থানান্তর করতে হবে।

বেগুনে রোগবালাই এবং পোকার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। যে কারণে বেগুন চাষে কিছুটা সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হয়। লক্ষণ দেখা দিলেই কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়।

গোড়া পচা, ঢলেপড়া রোগ ও খাটো আকৃতির পাতা রোগ দমনে নার্সারি থেকে উপযুক্ত ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকনাশক কিনে স্প্রে করতে হয়। ফল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, মেলিবাগ, বিটল, সাদা মাছি ও জেসিড, মাজরা পোকা দমনেও কীটনাশক স্প্রে করা দরকার।

Advertisement

বেগুন গাছের বৃদ্ধি দ্রুত গতিতে হয়। দুর্বল হওয়ার কারণে গাছ সোজা রাখার জন্য কাঠি বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। বৃদ্ধি অব্য়াহত রাখতে সার প্রয়োগের পাশাপাশি মাঝে মাঝে গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হয়।

গাছের বয়স বাড়লে গোড়ার দিক থেকে ২০ সেন্টিমিটার রেখে উপরের অংশ ছেঁটে দিলে কেটে দেওয়া অংশ থেকে নতুন শাখা-প্রশাখা বের হয়। সেখানেও বেগুন আগের মতো বেগুন ধরবে।

এমএমএফ/এমএস