আল্লাহর নাম নিয়ে খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করার পর তাতে বরকতের জন্য দোয়া করার কথাও বলেছেন নবিজী। তিনি খাবার ও পানীয় গ্রহণ করার সময় তাতে বরকতের দোয়া করতেন এভাবে-
Advertisement
১. اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ، وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ
উচ্চারণ : ’আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফিহি ওয়া আত্বয়িমনা খাইরাম মিনহু।’
অর্থ : ’হে আল্লাহ! আমাদের এর মধ্যে (খাবারে) বরকত দিন এবং এর চেয়ে উত্তম খাবার দান করুন।’
Advertisement
২. اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ، وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণ : ’আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফিহি ওয়া যিদনা মিনহু’
অর্থ : ’হে আল্লাহ! আমাদেরক এর মধ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়ে আরো বৃদ্ধি করে দিন।’
খাবার ও পানীয়ে বরকতের দোয়া দুইটি হাদিসের বর্ণনায় এভাবে এসেছে-
Advertisement
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদিন আমি হজরত মাইমুনা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘরে উপস্থিত ছিলাম। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে আসলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলো হজরত খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু। তখন কতিপয় লোক দুইটি দব্ব (দেখতে গুইসাপের মতো) ভূনা করে দুইটি কাঠের উপর রেখে নিয়ে এলো।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থুথু ফেললেন। হজরত খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! মনে হয় আপনি ঐ দব্বের গোশত অপছন্দ করেন। তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’।
এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য দুধ আনা হলো। তিনি তা পান করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের কেউ খাবার খাওয়ার সময় যেন বলে-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ، وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ
উচ্চারণ : ’আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফিহি ওয়া আত্বয়িমনা খাইরাম মিনহু।’
অর্থ : ’হে আল্লাহ! আমাদের এর মধ্যে (খাবারে) বরকত দিন এবং এর চেয়ে উত্তম খাবার দান করুন।’
আর দুধ পানের সময় যেন বলে-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ، وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণ : ’আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফিহি ওয়া যিদনা মিনহু’
অর্থ : ’হে আল্লাহ! আমাদেরক এর মধ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়ে আরো বৃদ্ধি করে দিন।’
কেননা একমাত্র দুধই খাদ্য ও পানীয় উভয়ের কাজ দেয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুধসহ যে কোনো খাবার ও পানীয় গ্রহণের সময় দোয়াটি পড়ার তাওফিক দান করুন। খাবার ও পানীয়তে বরকত দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম