জাতীয়

মন্ত্রী-সচিবের এলাকায় বেশি বরাদ্দে ক্ষোভ

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও একই মন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসানের  এলাকায় নিয়মবহির্ভূত বরাদ্দ নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে এ  দু’জন নিজ নিজ এলাকায় ৪ কোটি এক চল্লিশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ নিয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৫তম বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ১৪তম বৈঠকে কমিটির সদস্য তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মন্ত্রী ও সচিবের এলাকায় অবৈধ বরাদ্দের অভিযোগ তুলে সে বিষয়ে জানতে চান। পরে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় বৈঠকে। সহকারী সচিব ইলিয়াচ কবির সাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রী এক হাজার ৭টি মসজিদ সংস্কারের জন্য ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ নেন। আর সচিব ৪১টি মসজিদ সংস্কারের জন্য ১১ লাখ পচাঁত্তর হাজার টাকা বরাদ্দ নেন।এছাড়া ২৪৫টি সংগঠন সংস্কারের জন্য মন্ত্রী ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা নেন। আর সচিব ৮টি সংগঠন সংস্কারের জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। ঈদগাহ ও কবরস্থান মেরামতের জন্য মন্ত্রী নিয়েছেন ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তিনি ১৬০টি ঈদগাহ ও কবরস্থানের বিপরীতে এ টাকা বরাদ্দ নেন। সচিব ৮টি ঈদগাহ ও কবরস্থানে বিপরীতে টাকা বরাদ্দ নেন ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। অপরদিকে, ৯২টি মন্দির সংস্কারের জন্য মন্ত্রী নেন ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ৪টি মন্দির সংস্কারের জন্য সচিব নেন ১ লাখ  ৩০ হাজার টাকা। দুটি শশ্মান ঘাট মেরামতে মন্ত্রী বরাদ্দ নেন ৪০ হাজার টাকা। তবে সচিব শশ্মানে জন্য কোনো টাকা নেননি। এ বিষয়ে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে টেলিফোনে জাগো নিউজকে বলেন, এসব বরাদ্দ নেওয়ার এখতিয়ার সবারই আছে। তবে সেসব বরাদ্দ ঠিকভাবে বিলি করা না হলে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নেয়া যায়। আমরা ঠিকভাবে তা বিলি করেছি।সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে মন্ত্রী ও সচিব এসব বরাদ্দের অর্ধেকও তাদের এলাকবাসীর কাজে ব্যবহার করেন নি। অথচ আমরা বরাদ্দ চাইলে দেয়া হয় না। এজন্য বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এইচএস/এসএইচএস/এএইচ/পিআর

Advertisement