দেশজুড়ে

সংস্কৃতি অঙ্গনে হামলাকারীরা ভণ্ড : নৌমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনে যারা হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে তারা ধর্মের নামে ভণ্ডামি করে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী মো. শাহজাহান খান। গত ১২ জানুয়ারি হামলার শিকার সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।মন্ত্রী বলেন, যারা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জায়নামাজে আগুন দিয়ে পোড়াতে পারে তারা মুসলমান নয়। তারা মুসলমানের নামে ভণ্ডামি ও ব্যবসা করে।মন্ত্রী আরো বলেন, যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে কোরআন-হাদিস এবং জায়নামাজ পোড়াতে পারে তারা প্রকৃত মুসলমান নয়, তারা ভণ্ড মুসলমান। তারা ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতির স্বার্থে।তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডবের ঘটনা কোনো আন্দোলন নয়, এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং নৈরাজ্য। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী আমাদের যেভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও সেই একই চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে হামলায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।মন্ত্রী বলেন, ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যেসব যুদ্ধাপরাধীর কথা বাঙালি জাতি ভুলে গিয়েছিল, এখন আবার নতুন করে জাগিয়ে তোলা হয়েছে। এ জন্য পাকিস্তানিদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আমাদের উপর নানাভাবে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ আলম সরকার প্রমুখ। পরে মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি এক মাদ্রসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসা ছাত্ররা।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/পিআর

Advertisement