‘একটি মাত্র গান দিয়েই বাঙালির জীবনে অমর হয়ে থাকবেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাস আসবে প্রতি বছর। গাফ্ফার চৌধুরী বেঁচে থাকবেন তার সেই মহান গানে। তার মতো বহুমাত্রিক প্রতিভার মানুষ কম-ই দেখতে পাওয়া যায়।’
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন একথা বলেন।
মেনন বলেন, ‘তিনি একাধারে সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি, সাহিত্যিক। সিনেমা জগতেও তার অবদান রয়েছে। সাংবাদিক হিসেবে তিনি ছিলেন খুবই শক্তিশালী। তার স্মৃতিশক্তি দিয়ে সমাজের, রাজনীতির নানা প্রসঙ্গ এমনভাবে তুলে আনতেন যা জীবন্ত হয়ে উঠতো। রাষ্ট্র, সমাজের অনেক অপ্রিয় সত্য কথা তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতেন।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ ও সমর্থন করতেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক ছিল। আবার বাকশাল গঠন করার পর তিনি বিখ্যাত সম্পাদকীয় লিখেছিলেন ‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু’। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগে যখন পরিবর্তনের ধারায় তখনও তিনি স্পষ্ট করে লিখে গেছেন, ‘আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক ধারা থেকে বিচ্যুতি হয়ে পড়ছে।’ সত্য কথা বলতে অকুতোভয় হতে হয়। তিনি তাই ছিলেন।
Advertisement
‘গাফ্ফার চৌধুরী যে বেলায় চলে গেলেন, আমি তার অকাল প্রয়াণ বলবো না, মহাপ্রয়াণ বলবো। মৃত্যুকে তো কেউ অস্বীকার করতে পারে না। মহাকালের ডাকে সাড়া দিতেই হবে। আমরা শুধু একটি গান দিয়ে নয়, সামগ্রিকভাবে যদি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে মূল্যায়ন করি তাহলে এই ব্যক্তিত্বকে অনুসরণ, অনুকরণ করার মতো অনেক কিছুই আছে।’
মেনন বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার হৃদ্যতা ছিল। আমার বড় ভাই সাদেক খানের জুনিয়র ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি করার কারণেই তাদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিল। বড় ভাই সাদেক খান মারা যাওয়ার পর তিনি মধুর স্মৃতিচারণ করেছিলেন। সেই লেখা নিয়ে ‘আমার দাদা সাদেক খান’ শিরোনামে বই বের করেছিলাম। আমার পরিবারের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল তার। আমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল সেই ছাত্রজীবন থেকেই। লন্ডন গেলেও আমি তার কাছে যেতাম।’
আমি তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। আমি তার গুণ গেয়ে যাবো আমৃত্যু।
এএসএস/এএসএ/জিকেএস
Advertisement